Tuesday, March 3

নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ খালেদার


ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন গুঞ্জন চলছে। তবে আগামীকাল ধার্য তারিখে আদালতে না গেলে তিনি যে গ্রেপ্তার হবেন সেটি মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই করণীয় নির্ধারণ করছেন বিএনপি নেতারা। ইতোমধ্যে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। গুলশান কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন শঙ্কার পর সারা দেশে নেতাকর্মীদের বার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আন্দোলন থামবে না। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলাপর্যায়ে এমন মেসেজ পৌঁছে দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, কিছুদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়া হরতাল-অবরোধে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে কাজ করছেন তারা। তাদের দাবি, গত দুদিনে হরতালে তাদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। আগামী কয়েক দিনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগণও রাস্তায় নেমে আসবে। জানা গেছে, গত কয়েক দিনে খালেদা জিয়া তার দলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি গ্রেপ্তার হলে পরবর্তী করণীয় কী হবে তা নিয়ে কথা হয়। এ ছাড়া জেলাপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিএনপি নেতাদের দাবি, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে সরকারের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। খালেদা জিয়া আগামী ধার্য তারিখে আদালতে গিয়ে জামিন আবেদন করলে হয়তো জামিন পাবেন। কিন্তু তাদের আশঙ্কা, এ মামলায় জামিন নিতে গেলে খালেদা জিয়াকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। যদি গ্রেপ্তার করা নাও হয়, তাহলে তিনি আর গুলশান কার্যালয়ে ফিরতে পারবেন না। কার্যালয় থেকে বের হলে সেখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশের সব পাড়া-মহল্লায় ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারপারসন ও জোটনেত্রী খালেদা জিয়া। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের মুখেই অবৈধ লুটেরা সরকারের পতন অনিবার্য। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের যেসব নেতা কার্যালয়ে আছেন, তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় ১ মার্চ ওই কার্যালয়ে তল্লাশি করতে আদালতের নির্দেশের পর সেখানে অবস্থান করা নেতাদের পাশাপাশি সারা দেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়াসহ দলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা, অফিস স্টাফ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ সদস্যসহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়