আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পঞ্চম বছরে গড়ালো আজ। গত চার বছর ধরে চলমান এ সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ উদ্ধাস্তুতে পরিণত হয়েছে। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের পাশাপাশি উদ্ভব ঘটেছে কট্টর সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস)। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ক্রমেই সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। খবর আল জাজিরার।
এ চার বছরে সরকারী বাহিনী, সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী, কুর্দি যোদ্ধা ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। দুই দফা শান্তি আলোচনায় কোনো ফলাফল আসেনি। এমনকি আলেপ্পোতে স্থানীয় একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও মাঠে মারা গেছে।
২০১১ সালের ১৫ মার্চ সরকারবিরোধী প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। মূলত আরব দেশগুলোতে বয়ে যাওয়া আরব বসন্তের ঢেউ এসে পড়ে সিরিয়ায়। তবে সেসময় বিক্ষোভকারীদের বেশ কঠোর হাতেই দমন করে সরকার। ক্রমেই ধীরে ধীরে চুড়ান্ত সংঘাতের দিকে যেতে থাকে দেশটি।
সিরিয়ান শিক্ষাবিদ ও দোহা ইন্সটিউটের বিশ্লেষক মারওয়ান কাবালান বলেন, কেউই আসলে ধারণা করেনি সংঘাত এ পর্যায়ে এসে পৌঁছাবে। আমরা আসলে জাতীয় দূর্যোগের মধ্যে অবস্থান করছি। আমি মনে করি, শান্তিপূর্ন বিক্ষোভকারীদের অস্ত্রের ভাষায় প্রতিহত করার ফলেই এ সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা আমরা আজ প্রত্যক্ষ করছি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলেছে, আমাদের যুগের সবচেয়ে বড় জরুরী মানবিক বিপর্যয় হচ্ছে সিরিয়া। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ অন্য দেশে পালিয়ে গেছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ লেবাননে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ উদ্ধাস্তু হয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই এখন দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। দেশের অবকাঠামোগত পরিস্থিতি মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে। মূদ্রা রয়েছে অবনতিশীল অবস্থায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশটির অর্থনীতি পিছিয়ে গেছে প্রায় ৩০ বছর!
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়