কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ঠাণ্ডা নুডলস। বিশেষ এই খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশটির রন্ধনশিল্পের গৌরবময় ইতিহাস। পশ্চিম এশিয়াজুড়ে পাওয়া গেলেও, উত্তর কোরিয়ার মানুষ অবশ্য মনে করে, এটা তাদের নিজস্ব খাবার। তাদের বিশ্বাস, এ ধরনের খাবারে আয়ু বাড়ে!
উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ং শহরের অংন্যু রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্ট পরিচিত ঠাণ্ডা নুডলসের প্রাসাদ নামে। ঠাণ্ডা নুডলসের কোরীয় নাম রায়েংগমাইন। রায়েংগ মানে ঠাণ্ডা। আর মাইন শব্দের অর্থ নুডলস। তাই একসঙ্গে, রায়েংগমাইনের অর্থ দাঁড়ায়, ঠাণ্ডা নুডলস।
ঝোলে চুবানো নুডলসে মেশানো হয়, ডিম আর মাংস। বিভিন্ন উৎসবে, খাবারটি হয়ে ওঠে প্রায় সব কোরীয়র রসনার বাসনা। খাবারের দোকানগুলোতেও তাই দেয়া হয় বিশেষ ছাড়।
খাবারটি কোরীয়দের জাতীয় খাবারগুলোর একটি। এটা দারুণ সুস্বাদু আর শক্তিদায়ক। তাই সবাই এই খাবার পছন্দ করে। এর প্রধান উপকরণ, আটা। নুডলস তৈরির সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দিকটায় বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়।
এশিয়াজুড়ে নুডলসের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এলাকাভেদে কাঁচামালেও রয়েছে ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে, এই নুডলস বিয়ে কিংবা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে, ঐতিহ্যবাহী খাবার নুডলস।
উত্তর কোরিয়ায়, প্রতি বছর প্রথম চান্দ্রমাসের চৌদ্দ তারিখে, ঠাণ্ডা নুডলস খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। তাদের বিশ্বাস, এতেই বেড়ে যাবে তাদের আয়ুষ্কাল। এই বিশ্বাস জন্মেছে, নুডলসের লম্বা আকৃতির কারণে।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়