ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোগীর অভজারভেশন বেডে বসায় রোগী গোলেখা বেগমের (৫৫) ছোটভাই মো. ওসমান গনিকে (৩৩) পিটিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন ওই হাসপাতালের তিনি ডাক্তার। শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ওসমান গনি ১৬১ নম্বর মতিঝিলের পিকে গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)
আহত ওসমান গনি ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যানসারে আক্রান্ত তার বড়বোন গোলেখা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় তিনি বোনকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় তার বোন বলেন, পাইপটা খুলে গেছে,এতে পেট ফুলে গেছে। তুমি একটু ডাক্তারকে ডেকে দাও।
এসময় ওসমান গনি ডাক্তারকে খুঁজতে যান। হঠাৎ পায়ে ঝিঝি ধরায় তিনি ডাক্তারের টেবিলের কাছে অভজারবেশন বেডে বসে পড়েন। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাক্তার নীলঞ্জন দাসসহ আরো দুই ডাক্তার মিলে ওসমান গনিকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ওসমান গনি বুকে, পিঠে ও মাথায় আঘাত পান। এছাড়া তার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে যায়। পরে ওই ডাক্তাররা মিলে তাকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
আহত ওসমান গনি রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরের ১৩৫ নম্বর বাড়িতে থাকেন। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার পাগড়া গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিনের ছেলে তিনি।
এ ব্যাপারে ডা. নীলঞ্জন দাস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ওই লোক এসে প্রথমে ডাক্তার নেই কেন বলে দুর্ব্যবহার করেন। পরে তিনি নিজেই ডাক্তারদের ওপর হামলা করেন। এরপর হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের সহায়তায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়