সহিংসতা দমনে ফের সময় চাইলেন হানিফ

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতর সন্ত্রাস দমনে আবারও কিছুদিন সময় চাইলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম-হানিফ। সোমবার বিকালে আওয়ামী লীগে সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ঢাকা মহানগরের নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এই সময় নেন। হানিফ বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে গুটিকয়েক খারাপ লোক। অথচ বিএনপির মতো এত বড় একটি দল যাদের ৩৫ শতাংশের বেশি সমর্থন রয়েছে। তারা এই ধরনের সন্ত্রাস করলে তা দমন করতে একটু সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে চেষ্টা করছে।আশা করি খুব দ্রুতই সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে। আপনারা বলছেন বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন তাহলে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আমাদের এখন মূল টার্গেট হলো আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক হলে জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কার্যকর করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এটা করতে তাদের কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। আশা করি সময় মতো তারা সেটা কার্যকরও করবে। তিনি বলেন, আজ আমাদের বৈঠকে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে তার প্রাপ্য শাস্তি কার্যকরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসময় তিনি দাবি করেন, বিএনপি জামায়াতের পেটের ভেতর গিয়ে তাদের প্রভু পাকিস্তানের সহযোগিতায় বাংলাদেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে।এরও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশের বিদেশি চাপ? খালেদাকে গ্রেপ্তারে আমাদের কোনো বিদেশি চাপ নেই।আজকে সারা বিশ্ব বলছে, বিএনপি-জামায়াত যেটা করছে সেটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।আর সেই কর্মকাণ্ডে হুকুমদাতাকে গ্রেপ্তারে কেন বিদেশি চাপ থাকবে? বৈঠক শেষে হানিফ জানান, আগামী ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন সকাল ৭টায় ধানমন্ডিতে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। একই দিন বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজ্জামেল হক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আ. লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।

খবর বিভাগঃ রাজনীতি

শেয়ার করুন