নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট দিঘীরপার পূর্ব ইউপি হিম্মতের মাটি গ্রামের মৃত মকদ্দুছ আলীর বসত বাড়ীতে বোমার মতো বস্তুর বিকট আওয়াজ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিকট শব্দের আওয়াজ নিয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, সোমবার দুপুর অনুমান ১টার দিকে গ্রামের মৃত মকদ্দুছ বসত বাড়ীতে বিকট শব্দের আওয়াজ হয়। এ সময় গ্রামের লোকজনের মধ্যে বোমা বিষ্ফোরণ হয়েছে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা মকদ্দুছ আলীর বাড়ীতে বীড় জমান। বিকট আওয়াজে মখদ্দুছ আলীর পুত্র মোক্তার হোসেন (২০) এর বাম হাত জ্বলসে গিয়ে গুরুতর জখম হলে তাকে সাথে সাথে বাড়ীর লোকজন স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আব্দুর রব সিদ্দিকীর কাছে নিয়ে গেলে জখম গুরুতর হওয়ায় তিনি মোক্তার হোসেনকে অন্যত্র চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেন।
পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রব সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মোক্তার হোসেনের হাত জলসে গিয়ে বাম হাতের দু’টি আঙ্গুল ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিঘীরপার ইউপির চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা আব্দুল মুমিন চৌধুরী, স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আ’লীগ নেতা আবুল কালামকে সাথে নিয়ে মকদ্দুছ আলীর বাড়ীতে যান।
এসময় বাড়ীতে উৎসুক জনতার উপস্থিতিতে বিকট শব্দের বিষ্ফোরণ ঘটে মোক্তারের আহতের ঘটনাটি জানতে চাইলে আহত মোক্তারের ছোট বোন ছাবিলা বেগম পুলিশকে জানান, তার ভাই মোক্তার নিজের ইঞ্জিন চালিত ট্রলি স্টার্ট করার সময় বিকট শব্দে আহত হয়েছেন। তবে ট্রলি স্টার্ট দিতে বিকট শব্দের বিষ্ফোরণের মতো ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায় নি। ঘটনাস্থলে রক্তের কোন ছাপ নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় চৌকিদার ফয়েজ উদ্দিন জানান, বোমার মতো বিকট শব্দের আওয়াজ শুনে তিনি মকদ্দুছের বাড়ীতে যাওয়ার পর বাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। তবে ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকায় নিরীহ লোকজনকে হয়রানীর অভিযোগ আছে। উপস্থিত উৎসুক জনতা জানিয়েছেন, বিকট শব্দে আহত মোক্তার হোসেনকে কোথায় চিকিৎসার জন্য তার মা ও ভাই আক্তার হোসেন নিয়ে গেছেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। আহত মোক্তার হোসেনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। তবে মৃত মকদ্দুছ আলীর পুত্ররা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে বলেন, পুরো ঘটনাটি গুজব। বোমা বিষ্ফোরণের মতো আলামতের ছিমটম পাওয়া যায় নি। ট্রলি স্টার্ট দিতে গিয়ে মোক্তার হোসেন আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে। এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য উপস্থিত জনতাকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, একটি মহল বোমা ফুটেছে মর্মে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়ে এলাকার শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়