কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এই জেলার শিবগঞ্জের কলেজ প্রভাষক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও তার তিন বন্ধু মিলে স্ট্রবেরি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্ট্রবেরি চাষে পেয়েছেন দারুণ সাফল্য।
২০০৯ সালে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন প্রভাষক সফিকুল। চলতি বছর চাষে ব্যাপকতা আনেন। তার সঙ্গে যোগ হন আরও তিন বন্ধু। এদের মধ্যে রয়েছেন আরেকজন শিক্ষক বিনোদপুর আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। ৪ জনে যৌথভাবে ১০ বছরের জন্য বিঘা প্রতি ১০ হাজার দরে ১৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে স্ট্রবেরি ফলের আবাদ করেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখ হতে ফল উঠতে শুরু করেছে এবং চলবে মার্চ মাস পর্যন্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। জমিতেই দর পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে হরতাল ও অবরোধ না থাকলে মূল্য আরো বেশি পাওয়া যেত বলে তিনি জানান। চারা রোপন থেকে শুরু করে এ পযন্তÍ খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা । আরো প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হবে। আর সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা মুনাফা হবে বলে তিনি আশাবাদি।
প্রভাষক সফিকুল জানান, ২০০৮ সালে টেলিভিশন চ্যানেলে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। পরে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হোসেনের সাথে পরামর্শ করেন। ২০০৯ সালে নভেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক ৫ কাঠা জমিতে স্ট্রবেরির আবাদ করেন। এতে সামান্য কিছু লাভ হয়। এরপর ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বিনোদপুর টাওয়ারের কাছে প্রায় ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করে লাভ হয়েছিল এক লাখ টাকা। পরের বছর বিনোদপুরে আরও জমি বর্গা নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করেন। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় লোকসানে পড়েন। হাল ছাড়েননি তিনি। ২০১২ সালে ৮ বিঘা জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছিল কয়েক লাখ টাকা।
পুঁজি বিনিয়োগ সম্পর্কে সফিকুল জানান, যৌথভাবে কয়েকটি এনজিও থেকে সামান্য ঋণ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। এখন কষ্টার্জিত শ্রমের সফলতা পেতে শুরু করেছেন।শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল ফারুক জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালি ও দোঁআশ মাটি স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। তাই শিবগঞ্জের প্রায় ২০ বিঘাতে জমিতে স্ট্রবেরির চাষ হচ্ছে এবং কৃষি বিভাগের লোকজন সরাসরি জমিতে গিয়ে দেখাশুনা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
ফিচার
সাফল্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়