ঢাকা: সোমবার বেলা ১টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে টিকেট বিক্রি করছিলেন মো. বিল্লাল নামের এক ব্যক্তি। ভরদুপুরে তাকে টিকেট বিক্রি করতে দেখে বেশ অবাক লাগল। দেখে কালোবাজারি বলেও মনে হলো না। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ৮টি টিকেট আছে তার কাছে।
আমি খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের টিকেট চাইলাম। বুঝতে পেরে বিল্লাল বললেন, আমি কালোবাজারি নই। সহকর্মীদের সাথে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েকজন যাচ্ছেন না, তাই টিকেটগুলো বিক্রির চেষ্টার করছি।
তিনি জানালেন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স সার্ভেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক অংশ নিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল ২৫ সদস্যের একটি দলের। এক সপ্তাহ আগে টিকেটও কাটা হয়েছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটায় আজ সকালে নয়জন জানিয়ে দিয়েছেন তারা যাবেন না। তাই টিকেটগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি।
শুধু বিল্লাল নন, কমলাপুর স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে এমন আরও কয়েকজন যাত্রীকে টিকেট বিক্রি করতে দেখা গেল। এদের কেউই কালোবাজারি নন। শিডিউল বিপর্যয় ও যাত্রাপথে হামলার আশঙ্কায় এরা নিজের টিকেট বিক্রি করে দিচ্ছেন। এদের কেউ ক্রেতা পাচ্ছেন, কেউ পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছেন না তাদের টিকেটের টাকার চেয়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন দেখা গেল।
এমনই একজন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র আবদুল মজিদ।
সকাল ৭টায় মহানগর প্রভাতীতে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বেলা তিনটায়ও এ ট্রেন রওনা না হওয়াতে টিকেট বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি।
ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে। কিন্তু রাতে যেতে কোনোমতেই সাহস হয় না। তাই আজকের টিকেট বিক্রি করে দিচ্ছি।
বাসা থেকে বের হতে ভয় লাগে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম তো অনেক দূর। কমলাপুর স্টেশন থেকে মিরপুর যেতেই ভয়ে ঘেমে যেতে হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়