কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ওয়াইন পানে ওজন কমে, সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগারও। সম্প্রতি আমেরিকার ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘কলেজ অব এগ্রিকালচারাল স্টাডিজ’এর এক গবেষণায় এ তথ্য জানা যায়।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য নিল শে জানালেন, ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন টানা দশ সপ্তাহ ধরে তাঁরা এক দল ইঁদুরকে প্রচুর খাওয়ান। স্বাভাবিক ভাবেই, কিছু দিনের মধ্যে তারা হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের ফ্যাটি লিভার বেড়েছে। লাফিয়ে বেড়েছে ব্লাড সুগারের মাত্রাও। এই একই সময় বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের অন্য একটি দলকে স্বাভাবিক আহার দিতে থাকেন। এ ভাবে দশ সপ্তাহ কাটার পর, মোটাসোটা ইঁদুরদের ‘মাস্কাডিন গ্রেপ’-এর (যে আঙুর থেকে রেড ওয়াইন তৈরি হয়) নির্যাস খাওয়ানো হয়। দেখা যায়, ওই ইঁদুরদের লিভার ফ্যাট ধীরে ধীরে কমে স্বাভাবিক খাদ্যাভাসে থাকা ইঁদুরদের সমতূল্য হয়ে গিয়েছে। একই কাণ্ড ঘটেছে ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রেও। সেই মাত্রাও পৌঁছে গিয়েছে স্বাভাবিকের কাছাকাছি।
নিল আরও বলেন, ইঁদুরের মতো এই একই পরিণতি তো মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটে। আঙুরে শরীরের ক্ষতিকারক ফ্যাটি লিভার কমানো যায়। শুধু রেড ওয়াইন নয়, একমুঠো আঙুর খেলেও একই ফল দেবে। আঙুরের রসেই রয়েছে মেদ ঝরানোর আসল চাবিকাঠি এল্যাজিক অ্যাসিড।
এল্যাজিক অ্যাসিড আসলে একটি ফেনল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ফ্যাটিঅ্যাসিড। আঙুর ছাড়াও আরও নানা ফল-সব্জিতে থাকে। শরীরে ফ্যাটের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে এল্যাজিক অ্যাসিড। সেই সঙ্গে নতুন করে ফ্যাট জমতে দেয় না। আসলে ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে ফ্যাট তৈরি হয়। লিভারের ভিতরে ফ্যাটি অ্যাসিডের বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় রাসায়নিকটি। তাই নতুন করে ফ্যাট তৈরি হয় না। লিভারের কাজ করার ক্ষমতাও বাড়ে। কমে ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত অসুখ।
বিশেষজ্ঞের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করলে বিপরীত ফলই হবে। একমাত্র নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে রেড ওয়াইন খেলেই উপকার। ৫ আউন্স বা ১৫০ এমএল (এক গ্লাসেরও কম) পর্যন্ত রেড ওয়াইন খাওয়া যেতে পারে। তাতে ১২৫ থেকে ১৫০ ক্যালোরি শরীরে আসবে। সেটাও সপ্তাহে দুই-তিন দিনের বেশি নয়। সেই সঙ্গে যথেষ্ট শরীরচর্চাও প্রয়োজন।
‘নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট্রি’পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
স্বাস্থ্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়