তানিম আহমেদ:
দেশের ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক কয় জন?
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দপ্তর সম্পাদক একজন থাকার কথা থাকলেও দুই নেতা দপ্তর সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে চলেছেন।
গত কাউন্সিল অধিবেশনে দুর্নীতির ভারে জর্জরিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মান্নান খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ঐ পদে দেয়া হয় আবদুস সোবহান গোলাপকে।
গঠনতন্ত্রের ২০(ঝ) ধারা মোতাবেক তাকে এই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়।
কিন্তু আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট (albd.org) ঘেটে দেখা গেছে দপ্তরের দায়িত্বে আছেন দুই জন। তারা হলেন-আবদুস সোবহান গোলাপ এবং এডভোকেট আবদুল মান্নান খান।
বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের কাউন্সিলে দাপ্তরিক দায়িত্ব নতুনভাবে বণ্টন করে ক্ষমতাসীন এ দলটি।সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুল মান্নান খানকে সরিয়ে তাঁর স্থলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ড. আব্দুস সোবহানকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে মৃণাল কান্তি দাসের স্থলে কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারীর দায়িত্বও পালন করছেন।
গত সাধারণ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান এমপি ঢাকা- ১ আসন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারনে তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তিনি এখনও নিজেকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন।
কিন্তু আ.লীগ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারে অগ্রাধিকার নয়, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুদকে তলবের কারণেই অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ. লীগের একজন নেতা বলেন, আবদুল মান্নান দপ্তর সম্পাদক থাকাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচারণ করতেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর মূল কাজ ছিল গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সম্পর্ক রাখা কিন্তু তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে যোগাযোগ তো রাখতেনই না বরং অনেক সময় ফোনও রিসিভ করতেন না।
এ নেতা আরো বলেন, তিনি দপ্তর সামলানো নয়, নিজের আখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।
দফতর সম্পাদক আবদুল মান্নান খান এ প্রসঙ্গে ঢাকাটাইমসকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পুরানো সংগঠন। দল কাকে রাখবে কাকে রাখবে না-সেটা দলই ভাল জানে। আর বিষয়টি নিয়ে আপনি দলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করুন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আপনি উপরের লেভেলে যোগাযোগ করুন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের ঢাকাটাইমসকে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু বলবো না, দলের মুখপাত্র আশরাফ সাহেবকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
----- ঢাকাটাইমস
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়