কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সৌন্দর্য ধরে রাখতে কত কীই না করে মানুষ। তার জন্য যদি সারাজীবন গোমড়া হয়ে থাকতে হয় তাতেই বা আপত্তি কিসে? মুখে তো বলিরেখা হবে না। এমনটাই করেছেন ৫০ বছরের টেস ক্রিস্টেন। মুখের বলিরেখা রুখে দিতে গত ৪০ বছর তিনি একবারের জন্যও হাসেননি।
প্রায়ই শুক্রবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোঁরায় পার্টি করেন টেস। তোলা হয় প্রচুর ছবি। আনন্দে উপচে পড়ে শ্যাম্পেন, হেসে গড়িয়ে পড়েন বন্ধুরা, কিন্তু সব ছবিতেই একেবারে গম্ভীর মুখে চেয়ে থাকেন ট্রেস। এক চিলতে হাসলেই যে মুখে পড়তে পারে সর্বনাশা ভাঁজ। জীবন কিন্তু একেবারেই দুঃখে ভরা নয় টেসের।
আনন্দ, সাফল্য সবই এসেছে টেসের ৫০ বছরের জীবনে। কিন্তু কিছুই এক মুহূর্তের জন্যও হাসাতে পারেনি ‘হাসতে মানা’ প্রতিজ্ঞা করা টেসকে। এমনকি, নিজের মেয়ের জন্মের পরও এক চিলতে হাসেননি টেস।
নিজের সৌন্দর্য নিয়ে গর্বিত টেস জানালেন,‘বয়সের সঙ্গে আমার মুখে বলিরেখা পড়েনি কারণ আমি মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিজেকে ট্রেনিং দিয়েছি। সকলে জানতে চান আমি বোটক্স করিয়েছি কি না, কিন্তু আমি করাইনি। ১৬ বছর বয়সের পর থেকে আমি কখনও হাসিনি। আমার একাগ্রতার ফল পেয়েছি। আমার মুখে একটাও বলিরেখা নেই। আমি বয়স ধরে রাখতে চাই। দাবি করে বলতে পারি আমার থেরাপি বোটক্সের থেকে অনেক বেশি প্রাকৃতিক।’
তবে টেস নন, এই পদ্ধতি মেনে চলেন ৩৪ বছরের মার্কিন টেলিভিশন তারকা কিম কার্দাশিয়ানও। বলিরেখা রুখতে যত পারেন কম হাসেন তিনি।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়