Monday, February 9

হরিয়ানায় গণধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৭


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা প্রদেশের রোতাক জেলা শহরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর অভিযুক্তদের তন্ন তন্ন করে খুঁজছে পুলিশ। রবিবার বহু নারীসহ শতশত মানুষ রোতাক শহর থেকে দিল্লিমুখী মহাসড়ক অবরোধ করার পর হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে গত ১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেদিনই তার বোন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) একটি খোলা মাঠে তার ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। ময়না তদন্তে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যুর আগে ঐ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ড. এস কে ঢাটা রাওয়াল নামে যে চিকিৎসক ময়না তদন্ত করেছেন, তিনি জানিয়েছেন ওই নারীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। ময়না তদন্তের সময় তার যৌনাঙ্গের ভেতর পাথরের টুকরো, ব্লেড, লাঠি পাওয়া গেছে। এমনকি তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শশাঙ্ক আনন্দ বিবিসিকে বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এটা ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা। তিনি জানান, তিন মাস আগে ওই নারী চিকিৎসার জন্য রোতাকে এসে তার বোনের বাসায় ওঠেন। রোতাকের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালে (পিজিআইএমএস) তার মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল। পুলিশ আরো জানায়, নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর তার বোনের বাড়ি থেকে ১৮ কি.মি. দুরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এদিকে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর নয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই নিহত নারীর বোন। এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য হরিয়ানা পুলিশ ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এছাড়া মামলাটির বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করার ঘোষণাও দিয়েছেন রোতাকের পুলিশ সুপার (এসপি) শশাঙ্ক আনন্দ। ওদিকে হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিং হুডা সোমবার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ক্ষমতাসীন প্রাদেশিক সরকারের আমলে হরিয়ানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিই এ ঘটনার জন্য দায়ী। তবে এসপি শশাঙ্ক আনন্দ জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি নয় বরং ভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক কাঠামো অনুসরন করে এই ধর্ষণ-কাম-খুনের ঘটনাটির তদন্ত করবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক নারীকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর সারা ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদদাতারা বলছেন, ওই ঘটনার পর ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন অনেক কঠোর করা হলেও, দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা কমার তেমন কোনো লক্ষণ এখনো নেই।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়