Monday, February 16

কেনো এতো নৃশংস আইএস?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ আর এ জঙ্গিবাদের আধুনিকতম সংস্করন ইসলামিক স্টেট বা আইএস। আইএসের নৃশংসতা ছাড়িয়ে গেছে জঙ্গিবাদে বিশ্ব কাঁপানো আরেক সংগঠন আল কায়েদাকেও। আলকায়েদা ধোয়া তুলসি পাতা তা নয়। তবে তাদের নৃশংসতা আইএস এর মত ছিল না। আলকায়েদা মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু তারা কখনওই মানুষ হত্যার ভিডিও প্রচার করেনি। আইএসের নৃশংশতায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে মানুষকে পুড়িয়ে এবং ছাদ থেকে ফেলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা। আর এ ধরনের নৃশংসতা করে তারা এক ধরনের ভয়ের আবহ সৃষ্টি করতে চায়। আইএসের প্রধান দাবি ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই জঙ্গি সংগঠন সিরিয়ার দুই-তৃর্তীয়াংশ দখল করে নিয়েছে। ফলে যেকোনো সময়ে বদলে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র। পাশাপাশি হোয়াইট হাউসে পতাকা ওড়ানোর স্পর্ধা করেছে আইএস। আইএসের মুখপাত্র আবু মুসা ‘দি স্পেড অব দ্য ক্যালিফাত : দি ইসলামিক স্টেট’ নামের প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘আমি আমেরিকানদের বলতে চাই, ড্রোন হামলা করে কাপুরুষের পরিচয় দেবেন না। এর পরিবর্তে সৈন্য পাঠান, যাদের আমরা ইরাকে পর্যদুস্ত করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের সব জায়গায় পর্যদুস্ত করব, ইনশাল্লাহ আমরা হোয়াইট হাউসে আল্লহর পতাকা ওড়াব।’ গত জুনে আইএস ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুল ও তিকরিত দখল করে নেয় এবং এখন তাদের লক্ষ্য স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিল। ইরাকের মসুল, সিরিয়ার দিয়ার ইজর ও রাকা এখন আইএসের দখলে। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল গত জুনে এক ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে দখল করে নেয় আইএস। আইএসের অধীনে জীবনযাত্রা মসুলে খুবই ভয়াবহ, দিনের মাঝামাঝি সময়ে নামাজের কারণে এখানে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ১৩ হাজার খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, শিয়া ধর্মাবলম্বীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। মসুল শহর দখলের সময় তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০। অপরপক্ষে তখন ইরাকের সৈন্য ছিল ২০ হাজার। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, হামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা কতটা কৌশল অবলম্বন করেছিল। ওই অভিযানে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মসুল শহর দখল করতে ৪ দিন সময় লেগেছিল। কিভাবে ২০ হাজার সেনার সঙ্গে দুশো আইএস বিজয় অর্জন করল প্রশ্নের জবাবে এক আইএস সদস্য জানান, তারা প্রথমে সামনের সারির সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং এর মাঝে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। যার ফলে অন্য সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছিল। আইএস যুদ্ধ করে আল্লাহর জন্য আর অন্যরা যুদ্ধ করে টাকার জন্য। এটাই তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়