নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউপির লালারচক গ্রামে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়ীতে দুর্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। অস্ত্রধারী ডাকাতদল প্রবাসীর পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে নগদ ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ৭টি মোবাইল সেট, ৩টি মেঘ লাইট সহ মূল্যবান দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। লালারচক গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলিম উদ্দিন রফিকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার চৌধুরী জানান বৃহস্পতিবার রাত অনুমানিক আড়াইটার দিকে ১৩/১৫ জনের অস্ত্রধারী একদল ডাকাত প্রথমে কলাসসিবল গেইট ভেঙে পরে তার পাকা বসত ঘরের পিছনের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। দরজার ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে তিনি শোর চিৎকার দিলে ডাকাতরা ঘুরে ঢুকেই তাকে আঘাত করে নাক মুখে রক্তাক্ত জখম করে মাথায় বন্দুক টেকিয়ে চিৎকার দিতে নিষেধ করে। এরপর ডাকাতরা তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে মুন্নাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে বড় ছেলে মান্না ও ছোট ছেলে তাহেরকে রশি দিয়ে হাত পা ও চোখ কাপড় দিয়ে বেধে রেখে। পরে ডাকাতরা ঘরের আলমারি সকেস সহ সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নির্বিঘ্নে চলে যায়। প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার চৌধুরী জানিয়েছেন, ডাকাত দলের সদস্যদের হাতে বন্দুক, ধারালো ছুরি ও লোহার রড ছিল। এক পর্যায়ে ডাকাতরা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়ার পর পার্শ্ববর্তী সাতঘরী গ্রামের ছমর আলীর বাড়ীতে হানা দিয়ে ঘরের জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ১১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট সহ ঘরের মালামাল ডাকাতির চেষ্টা করলে বাড়ীর লোকজনের আর্ত্মচিৎকারে লোকজন ঘুম থেকে জেগে উঠে মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাতরা হানা দিয়েছে মাইকিং শুরু করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কানাইঘাট থানার একদল পুলিশ প্রবাসীর বাড়ীতে গিয়ে ঘটনস্থাল পরিদর্শন করেন। এছাড়া গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার দিঘীরপার ইউপির দিঘীরপার গ্রামে হাফিজ ওবায়দুর রহমানের বাড়ীতে অনুরূপ একদল ডাকাত হানা দিলে পরিবারের সদস্যদের প্রতিরোধের মুখে ডাকাতরা পালিয়ে যায় বলে বাড়ীর লোকজন জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন, প্রবাসী আলিম উদ্দিন রফিকের বাড়ীতে নজির বিহীন দুর্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। বাড়ীর সমস্ত দামি জিনিসপত্র ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া সাতঘরি গ্রামের ছমর আলীর বাড়ীতে হানা দিয়ে ডাকাতরা মালামাল লুট করার সময় গ্রামবাসী প্রতিরোধ ও মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়ায় ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি ডাকাতি সংগঠিত দু’টি বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের লোকজন শান্তনা জানিয়েছেন। ডাকাতির ঘটনাটি তিনি উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন বলে কানাইঘাট নিউজকে জানান। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ডাকাতি না অন্য কিছু।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়