স্বাস্থ্য ডেস্ক,কানাইঘাট নিউজ:
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার মতো একটি উন্নত খাবার হচ্ছে ডিম। কারণ ডিমে রয়েছে আমিষ, চর্বি, সামান্য শর্করা, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১ ও বি২। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম ১৮১ কিলোক্যালরি এবং মুরগির ডিম ১৭৩ কিলোক্যালরি শক্তির জোগান দেয়।
ডিমে প্রোটিন বা আমিষ এবং চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় সমানই বলা চলে। ডিমের সাদা অংশ অর্থাৎ কাঁচা অবস্থায় আঠালো জেলির মতো জলরঙের অংশটি হচ্ছে প্রোটিন। এই প্রোটিন বা আমিষ হচ্ছে শরীর গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। আর হলুদাভ অংশটি চর্বি বা ফ্যাট। হলুদ অংশটির সাথে থাকে ভিটামিন-এ।
চর্বি দেহে শক্তির জোগান দেয় এবং চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (যেমন-এ, ডি, ই কে) শোষণে সাহায্য করে।
অনেকেরই ধারণা, ডিমের কুসুমটাই বুঝি আসল। প্রকৃত সত্যটি কিন্তু নয়। শিশু কিংবা যুবক সব ক্ষেত্রে শরীর গঠনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা বেশি। যদিও ডিমের হলুদ অংশে ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা শিশুর দৃষ্টিশক্তিকে সমৃদ্ধ করে। কিন্তু ভিটামিন ‘এ’ পাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট অনেক খাদ্য উপাদান রয়েছে।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিমের এই হলুদ অংশ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে। তাই হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম খাওয়া বারণই বলা চলে। ডিমের কুসুমের প্রতি অনেকেরই আকর্ষণ রয়েছে। প্রায়ই দেখা যায়, ডিমের সাদা অংশটি রেখে দিয়ে মায়েরা কুসুমটি তুলে দিচ্ছেন শিশুর মুখে। আর সাদা অংশটি অর্থাৎ প্রোটিনটি ফেলে দিচ্ছেন কিংবা কাজের লোকদের খেতে দিচ্ছেন। অথচ ডিমের সাদা অংশেই রয়েছে শরীর গঠনের মূল উপাদান-প্রোটিন এবং সাথে ভিটামিন ‘বি’।
ডিম খেতে অনীহা এমন লোকদেরও দেখা যায় টুপ করে কুসুমটুকু খেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ডিমের সাদা অংশটুকু চর্বি ভেবে বাদ দেন। আগেই বলা হয়েছে, ডিমের হলুদ অংশটাই হচ্ছে চর্বি বা ফ্যাট। ডিমের কুসুমের প্রতি বাড়তি আগ্রহ দেখানোর কোনোই যুক্তি নেই। তাই বলে ভাববেন না কুসুম খেতে বারণ করা হচ্ছে।
ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। ডিমের রয়েছে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন। এটিই হওয়া উচিত ডিমের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আর সেই প্রোটিন পেতে হলে ডিমের সাদা অংশটুকুই গ্রহণ করতে হবে আগ্রহভরে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়