মো: মাহতাব আহমদ(সেলিম)
:
যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা এবং স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে অমত করায় কানাইঘাটে তিন সন্তানের এক জননীকে পাশবিক নির্যাতন করে পাষন্ড স্বামী মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার উপজেলার বাণীগ্রাম ইউপির ব্রাহ্মণ গ্রামে। এ ঘটনায় স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন হালিমা বেগম সুমি (৩২) এর পিতা মোঃ ময়না মিয়া বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় জামাতা দেলোয়ার হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর পূর্বে সৌদি প্রবাসী ফেরত ব্রাহ্মণগ্রামের সমছু উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেনের সাথে বাউরভাগ পশ্চিম উজানীপাড়া গ্রামের মোঃ ময়না মিয়ার এর মেয়ে হালিমা বেগম সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য দেলোয়ার হোসেন স্ত্রীকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। প্রবাস থেকে দেশে ফেরার পর দেলোয়ার হোসেনকে যৌতুক বাবদ ৫লক্ষ টাকা দাবী করলে নগদ ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেন মেয়ের পিতা ময়না মিয়া। কিন্তু তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয় নি। পরবর্তীতে হালিমা বেগমের ৫ ভরি স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দেয় স্বামী দেলোয়ার হোসেন। সম্প্রতি যৌতুক বাবদ আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে দেলোয়ার হোসেন শ্বশুড়ালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রী হালিমাকে আবারো নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সইতে না পেরে হালিমা বেগম তার তিন সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে আশ্রয় নেন। পরে বিষয়টি সামাজিক ভাবে মুসলেকার মাধ্যমে স্ত্রীকে আর নির্যাতন করবে না এমন অঙ্গীকার দিয়ে ঘরে তুলে নেয়। ঘরে তুলে নেয়ার পর থেকে শুরু হয় হালিমার উপর পাশবিক ও মানসিক নির্যাতন নিপীড়ন। এ ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুর অনুমান ১২টার দিকে পিত্রালয় থেকে যৌতুক বাবদ ৩ লক্ষ টাকা এনে না দেওয়া হলে সহ দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে হালিমা বেগমকে মারধর শুরু করে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন। এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় পাষন্ড স্বামী। রক্তাক্ত অবস্থায় হালিমাকে উদ্ধার করে তার আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। তার মাথার আঘাত মারাত্মক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়