Sunday, February 8

নবজাতকের ওজন সাড়ে ছয় কেজি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: মার্কিন নারী ম্যাক্সজান্দ্রা ফোর্ড ফেøারিডায় এক হাসপাতালে ১৪ দশমিক এক পাউন্ড (৬.৪ কেজি) ওজনের এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন। সাধারনত সুস্থ নবজাতকের ওজন হয়ে থাকে দুই থেকে তিন কেজি। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে অ্যাভারি এবং তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চায় রাখা হয়েছে। ফোর্ড বলেন, ‘প্রসবের সময় তিনি বুঝতে পারছিলেন যে শিশুটি অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর মতো নয়। এটি বেশ বড় আকারের শিশু।’ তবে শিশুটির ওজন যে ১৪ দশমিক এক পাউন্ড হবে এটি তিনি একেবারেই ধারণা করতে পারেননি। শিশুটি গর্ভধারনের প্রথম তিনমাস ফোর্ড বুঝতেই পারেনি যে তিনি গর্ভবতী। সন্তান গর্ভধারণ করলে অনেক সময় মায়েদের পা ফুলে যায় এবং অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে গর্ভধারনের পর থেকে কখনোই শারীরিক ক্লান্তি অনুভব করেননি বলেও জানান ফোর্ড। নবজাতকের ওজন সাড়ে ছয় কেজি! কিন্তু গত বছরের গ্রীষ্মের তুলনায় তার ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ফোর্ডের এক বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করেছিলেন, যে তিনি হয়েতো যমজ সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন। ১৮ ঘন্টা কাজ করার পরও ২৯ জানুয়ারী সেইন্ট জোসেপ হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোনো রকম অস্ত্রপচার ছাড়াই অ্যাভারিকে জন্ম দেন ফোর্ড। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাভারি ছিলেন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত জন্ম নেয়া সবচেয়ে বড় শিশু এবং সমগ্র রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বড় শিশু। প্রসবকালীন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ফোর্ড বলেন, প্রসবকালীন সময়ে তিনি যেন একটি ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন। যখন অ্যাভারির মাথা বের হয়ে আসে তখন ফোর্ড ধারনা করেছিলেন, তার ওজন কমপক্ষে ১০ পাউন্ড। ফোর্ডের অন্য দুই শিশুর জন্মের সময় ওজন ছিল ৯ পাউন্ড ও ১০ পাউন্ড। অ্যাভারির মাথা সম্পূর্ণ চুলে আবৃত ছিল এবং বর্তমানে শিশুটি নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন অ্যাভারি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। চিকিৎসক জেনিরি পেরি বলেন, ‘অ্যাভারির সাময়িকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত সরবরাহ ও খাবার গ্রহনে কিছু সমস্যা হতে পারে।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়