ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ চলছে। একই সঙ্গে এখন সারাদেশে চলছে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। অবরোধের ৩৭তম দিন এবং ৪৮ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই ছিল যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। বিশেষ করে দুপুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটে পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, মানুষ দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে কর্মস্থল ও গন্তব্যে যাতায়াত করছে। দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা রোধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে মানুষ রাস্তায় বের হতে ভরসা পাচ্ছে। এ কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, খামারবাড়ি, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সবচেয়ে বেশি যানজট ছিল মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট, খামারবাড়ি, আগারগাঁও এলাকায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সড়কে সহিংসতা প্রতিরোধের দাবি জানিয়ে সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মিছিল-সমাবেশ করেছে। এ কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে মতিঝিল, গুলিস্তান, মৌচাক, রামপুরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া দুপুরের পর হাজারো মানুষের ঢল নামে রাজধানীর বাংলা একাডেমির বইমেলায়। এ কারণে শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কাকরাইল, খামারবাড়ি, আগারগাঁও, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, বিমানবন্দর এলাকা, বনানী, কাকলী, গুলশান এলাকার সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। যানবাহনের চাপের কারণে প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যালে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়।
গাবতলী থেকে সদরঘাট রুটে চলাচলকারী ৭ নম্বর গাড়ির যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে যানজটে পড়তে হবে না- বাসা থেকে বের হওয়ার আগে এমনটা মনে হয়েছিল। কিন্তু শ্যামলী থেকে গুলিস্তান পৌঁছতে প্রায় এক ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়