কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বলকান যুদ্ধের সময় গণহত্যার যে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ ক্রোয়েশিয়া এবং সার্বিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে করেছিল, আন্তর্জাতিক আদালত সেগুলো খারিজ করে দিয়েছে।
ঐতিহাসিক এক রায়ে, বিচারকরা বলছেন, কোনো পক্ষই গণহত্যার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
১৫ বছরেরও বেশি আগে আন্তর্জাতিক আদালতে এই অভিযোগ প্রথম এনেছিল ক্রোয়েশিয়া। তাদের অভিযোগ ছিল ১৯৯০’র দশকের প্রথম দিকে বলকান যুদ্ধের সময় বিপুল সংখ্যক ক্রোয়াটের হত্যা এবং বাস্তচ্যুত হওয়ার ঘটনাগুলো সার্বিয়ার নেতারা অস্বীকার করছে।
জবাবে সার্বিয়া ২০১০ সালে একটি পাল্টা মামলা করে যে, ক্রোয়েশিয়া যখন তার হারানো এলাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য সামরিক অভিযান চালিয়েছিল তখন আড়াই লক্ষ সার্ব জাতিগোষ্ঠীর লোক বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান বিচারক পিটার টমকা তার রায়ে বলেছেন, দু’পক্ষের কেউই প্রমাণ করতে পারেনি যে তাদের প্রতিপক্ষের কোনও একটি জাতিগোষ্ঠী বা তার একাংশকে নিশ্চিহ্ন করার ইচ্ছে ছিল।
তারা এজন্য যে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছে তাতে গণহত্যার দাবি সমর্থিত হয় না।
বিচারক বলেছেন, সে সময় হত্যাকাণ্ড এবং মানুষের বাস্তুচ্যুত হবার ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তা গণহত্যার পর্যায়ভুক্ত নয়।
তিনি উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য একসাথে কাজ করতে বলেছেন।
এরপর ক্রোয়েশিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইভো জোসিপোভিচ বলেছেন তিনি এই রায়ে খুশি হননি, তবে রায় মেনে নিচ্ছেন।
আর সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট টমিস্লাভ নিকোলিচ সাংবাদিকদের কাছে স্থায়ী শান্তির আশা প্রকাশ করেছেন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়