ঢাকা: গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৩১ দিন ধরে `অবরুদ্ধ' হয়ে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই কার্যালয়ে থেকেই তিনি চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ে তার ছোটছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ইন্তেকালেও তিনি কার্যালয় থেকে বের হননি। এমনকি তার কার্যালয়ের বিদ্যু, ইন্টারনেট ও ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও অনড় খালেদা জিয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘অবরুদ্ধ’ হওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিএনপির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ মহিলা দলের নেত্রীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়ের সামনে ধরপাকড় শুরু হলে বিএনপির শীর্ষস্থানীয়সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আর দেখা যায়নি। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে এতদিন খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন। সোমবার তারাও মালয়েশিয়ায় ফিরে গেছেন।
১৯ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকার শুভবুদ্ধি প্রণোদিত হয়ে আমার কার্যালয় থেকে ১৯ জানুয়ারি গভীর রাতে বিনা ঘোষণায় অবরোধ প্রত্যাহার করে থাকলে আমি তা স্বাগত জানাই। আন্দোলন সফল না করে কার্যালয় ছাড়বেন না বলে নেতাদের কাছে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
এদিকে অবরোধের প্রথম থেকে বিএনপির নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। একমাত্র দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আত্মগোপনে থেকে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা ও দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠাচ্ছিলেন। তবে ৩১ জানুয়ারি তিনি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বর্তমান এই দায়িত্ব পালন করছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বাকি সব নেতা আত্মগোপনে চলে যান বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। অনেকে মোবাইলফোনও বন্ধ রাখছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্ষমতাসীনরা সম্পূর্ণ বেআইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার চলাফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র হত্যার শামিল।” অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চলাফেরার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ আছেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন, তিনি ইচ্ছা করলেই তার বাসায় যেতে পারবেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়