কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
১৭ কোটি বছরের পুরোনো ডলফিনের মতো দেখতে সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির সামুদ্রিক একটি দানবের জীবাশ্ম আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১৪ ফুট লম্বা ওই জীবাশ্মটি স্কটল্যান্ডের স্কি দ্বীপ থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে।
জার্ক ভারা শক্রোসি নামক প্রজাতির এই প্রাণীটি ইচথিয়োসরাস নামের একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির সদস্য। ডায়নোসররা যখন ভূ-ভাগে দাপিয়ে বেড়াতো তখন এই প্রজাতির প্রাণীরা সমুদ্রে বসবাস করতো।
ইচথিয়োসরাস প্রজাতির বেশ কয়েকটি শ্রেণির প্রাণী বর্তমানের সবচেয়ে বড় প্রজাতির তিমি ছাড়া আর সব প্রজাতির সঙ্গে লড়াই করে জীবন ধারণ করতে গিয়ে দানবীয় আকার লাভ করে। সাড়ে ৯ কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৫ কোটি বছর ধরে এরা টিকে ছিল।
জার্ক ভারা ছিল প্রমাণ সাইজের ইচথিওসরাস যার সদস্যরা জুরাসিক যুগে অগভীর সমুদ্রের উষ্ণ জলে সাতার কেটে বেড়াতো। এরা মাছ এবং স্কুইড খেয়ে জীবন ধারণ করতো।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ স্টিভ ব্রুসাত্তে বলেন, স্কটল্যান্ডের মাটি থেকে আবিষ্কৃত এবং বিজ্ঞানীদের অধ্যায়নের বিষয়বস্তু হওয়া প্রথম অনন্য সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির দানব এটি। সোমবার স্কটিশ জার্নাল জিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের একজন গবেষক ছিলেন তিনি।
এর আগেও স্কটল্যান্ডে এ ধরণের সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির দানবীয় প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় অন্তরীণ হয়ে থেকেছে বা বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু এই জীবাশ্মটির আবিষ্কারক তার আবিষ্কৃত জীবাশ্মটি একটি যাদুঘরে দান করে দেন এবং তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করেন।
ব্রায়ান শক্রোসি নামের সৌখিন এই জীবাশ্ম শিকারি ১৯৫৯ সালে স্কি দ্বীপের উত্তরাংশে এই ফসিলটি খুঁজে পান। আর ১৯৯০ এর দশকে তা যাদুঘরে দান করে দেন। প্রজাতিটির বর্গীয় নাম জার্ক ভারার সঙ্গে এর আবিষ্কর্তার উপাধি শক্রোসি যুক্ত করে এর নামকরণ করা হয়। এর মাধ্যমে শক্রোসিকে সম্মানিত করা হয়।
অধ্যাপক ব্রুসেট বলেন, এই আবিষ্কারের ফলে জুরাসিক যুগের সামুদ্রিক সরীসৃপ প্রজাতির দানবদের জীবন যাপনের এক অজানা অধ্যায়ের ইতিহাস উদঘাটিত হবে, যা এতোদিন অন্ধকারেই ছিল।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়