Thursday, January 1

ফিরে দেখা-২০১৪ : বাংলাদেশের ফুটবল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কালের পরিক্রমায় এর পরিবর্তন ঘটলেও এবার দেখা গেছে ফুটবলে যেন মরা গাঙ্গে স্রোত এসেছে। এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেই এগিয়ে আসতে হবে। বছরের শেষ দিনে এসে পেছন ফিরে তাকালে বাংলাদেশের ফুটবলের কোন ছবিটা প্রথম চোখে ভাসে? বছরজুড়ে ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলের রমরমা আসর। কিন্তু তার মাঝেও ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের খন্ড খন্ড কিছু চিত্র। ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের মেলা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে নিয়ে চলেছে একের পর এক নাটক। ছিল ডাচ কোচ ক্রুইফকে পারিশ্রমিক দিতে না পারার বিতর্ক। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র খেলেছে বিদেশের মাটিতে। এছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলে হাসি ফিরিয়ে এনেছিল এদেশের ক্ষুদে মহিলা ফুটবলাররা। এশিয়ার সেরা দশে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সানজিদা আক্তার। সানজিদা সপ্তম হয়েছেন। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশের মাটিতে খেলতে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আইএসএল মামুনুল খেলতে গিয়ে দেশকে পাইয়ে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বাদ। যদিও তার ক্লাব এ্যাথলেতিকো ডি কলকাতা তাকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখে। কলকাতা প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে তিনিও এর স্বাদ কিছুটা হলেও পেয়েছেন। বিভিন্ন বিতর্কের পাশাপাশি এ বছর বাংলাদেশের ফুটবলের যেমন রয়েছে সাফল্য, তেমনি রয়েছে অনেক ব্যর্থতা? যেটি খুঁজলেই পাওয়া যাবে। ২০১৪ সালটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য নানা ইতিবাচকই হয়ে থাকছে। ব্যর্থতায় বছর কেটেছে বাংলাদেশের ফুটবল কোচ নিয়োগে। উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেয়া দুই ডাচ কোচকে পরে ছেড়ে দেয় বাফুফে। গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য আর ঘন ঘন ছুটির অভিযোগে গত ১৯ অক্টোবর কোচের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ক্রুইফকে। তবে, আবারো শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগেই জাতীয় দলে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে, সেটি স্বল্প মেয়াদের জন্য। তেমনি কোচ মারুফুল হককে বাফুফে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। যদিও শেষ হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কারণে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ পেয়েছে। ভুটান থেকে কিংস কাপ জিতে নিয়ে এসেছে শেখ জামাল। ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার আইএফএ শিল্ড খেলতে যায় শেখ জামাল। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা দলটি ফাইনালে দারুণ খেলেও টাইব্রেকারে হেরে বসে। এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে শেখ রাসেল। এ বছরই সবচেয়ে বেশি (৭টি) আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় দশে। ভারতের সঙ্গে গোয়ায় ২-২ ড্র দিয়ে শুরু আর শেষটায় জাপান অনূর্ধ্ব-২১ দলের কাছে ৩-০ গোলে হার। দশটি ম্যাচের ছয়টিই খেলেছে অনূর্ধ্ব-২৩ আর বাকি চারটি খেলেছে জাতীয় দল। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে জয়, ৫ ম্যাচে পরাজয় আর ২ ম্যাচে ড্র করে লাল-সবুজরা। মাঝখানে বাংলাদেশ খেলেছে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ ও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বিপক্ষে। তাদের সঙ্গে দুটি করে চারটি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। সিলেটে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল দর্শক স্রোত। যশোর এবং রাজশাহীতেও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ম্যাচ দুটিতে দর্শক মেতে উঠেছিল ফুটবলের সত্যিকার আমেজে। এশিয়ান গেমসে গিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় লাল-সবুজরা। অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের এএফসি ফুটবলে আলোড়ন তুলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে টুর্নামেন্টে জর্ডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুরু করে বাংলাদেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা। এরপর আরব আমিরাতের জালে ৬ গোল দেয় তারা। লাল-সবুজ কিশোরীরা ইরান ও ভারতের কাছে নিজেদের পরের ম্যাচে হেরে যায়। তবে, এতোসবের পরেও বাংলাদেশের কিশোরী সানজিদা এশিয়ার সেরা দশ ফুটবলারের

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়