ঢাকা: আরেকটি দু:স্বপ্নের মত শনিবার কাটালেন খালেদা জিয়া। আজ থেকে ৩৪ বছর আগে ৩০ মে শনিবার খালেদা জিয়া জানতে পারেন তার স্বামী সাবেক সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যদের হাতে চট্রগ্রামে নিহত হয়েছেন।
বেগম জিয়ার কাছে শনিবার ছিল অন্যান্য দিনের মতোই নিরুত্তাপ। গুলশানের কার্যালয়ের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু বিকালে তার সবকিছু তছনছ হযে যায়।বিকালে তার দুই ননদ, তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী এই মর্মান্তিক সংবাদটি খালেদাকে জানান। তাকে জনানো হয় তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো আর নেই। কোকো বেলা ২.৩০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মালয়েশিয়াতে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে যাবার পথে তিনি মারা যান।
দলের নিতীনির্ধারক পর্যায়ের একজন জানান যে, খবরটি শোনার পর থেকে বেগম জিয়া গুলশান কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলা থেকে আর নামেননি এবং কারও সাথে আর দেখাও দেননি।
অপর একজন বলেন, খবর শোনার পর থেকে তিনি শুধুই কাদঁছেন এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ খবরটি এমন এক সময় এল যখন বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বর্তমান সরকারের পতনের জন্য টানা অবরোধ চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি চলছে হরতাল।
আরাফাত রহমান কোকো’র সাথে বেগম জিয়ার সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৩ সালের মে মাসে সিঙ্গাপুরে। কোকো ৭ বছর ধরে দেশের বাইরে ছিলেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারিতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় খালেদা জিয়া, তার দুই ছেরে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো গ্রেফতার হন।
২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর কোকো ও তার পরিবার চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে চলে যান এবং সেখান থেকে তারা মালয়েশিয়া যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়াতেই ছিলেন।
আরাফাত রহমান কোকোকে আদালত অর্থপাচার মামলায় ৬ বছরের জেল এবং ১৯ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। খবরটি শোনার পর কোকোর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে আসেন। কোকো’র নামাজে জানাজা আজ রবিবার জোহরবাদ মালোয়শিয়ার নাগালা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। আগামী মঙ্গলবার কোকোর লাশ ঢাকায় আসছে।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়