কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
স্বর্ণ মানেই অলংকার আর সেই সাথে বিলাসিতার স্বাদ। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন স্বর্ণের স্বাদটা আসলেই কেমন? কেমন হতো যদি স্বর্ণ খাওয়া যেত? তবে জেনে নিন এমন কিছু খাবারের কথা যেগুলো তৈরির উপকরণে রয়েছে স্বর্ণ।
ভাবছেন এগুলো পাগলের প্রলাপ? একদমই না!
খেয়ে দেখুন স্বর্ণ!
গিনিজ বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় রয়েছে এমনই কিছু খাবারের কথা। এই খাবারগুলোতে সত্যি সত্যি, হয় স্বর্ণ মেশান হয়েছে, না হয় খাবার মোড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে, কোন কোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্বর্ণ-চূর্ণ, আবার কোন কোন খাবার করা হয়েছে স্বর্ণ-খচিত!
এমন পাঁচটি খাবারের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বিলাসিতার নগরী আবুধাবির ২৫ ডলারের এক কাপ কাপ্যুচিনো। এই কাপ্যুচিনো সাজানো হয়েছে দারুচিনির বদলে স্বর্ণ-চূর্ণ ছিটিয়ে।
এরপর রয়েছে লাসভেগাসের মির্যাজ হোটেল আর ক্যাসিনোর পোর্টোফিনোর ল্যাযানিয়ায়, যেটাতে শুধু স্বর্ণই নয় ব্যবহৃত হয়েছে হীরাও! অন্যান্য উপকরণে রয়েছে কোবে গরুর মাংস, ইবেরিকো শুকরের মাংস, প্রশ্যুত্যো ডি পার্মা, পার্মিজিয়ানো-রেজিয়ান্যো, মহিষের মোজারেলা পনির, পরশিনি মাশরুম আর ফ্যো গ্রাস আলফ্রেদো স্যস। বাবুর্চি মাইকেল লাপ্লাজা এটি তৈরিতে ব্যবহার করেন হীরার তৈরি ট্রাফাল আর ২৩ ক্যারট স্বর্ণপাত।
খেয়ে দেখুন স্বর্ণ!
স্বর্ণ দিয়ে তৈরি সবচেয়ে দামি খাবারের মধ্যে এরপর রয়েছে ফ্রোজেন হ্যট চকোলেট। এটিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্বেত-হীরা খচিত ১৮ ক্যারট স্বর্ণের তৈরি ব্রেসলেট । এছাড়া এর অন্যান্য উপকরণে রয়েছে ২৪ রকমের কোকোয়া আর ট্রাফাল, যার প্রতি পাউন্ডের দাম ২৬০০ ডলার।
এই তালিকায় আছে জাপানের স্যুশিও। কিন্তু যখন এই স্যুশি তৈরি করেন বিখ্যাত কারাট বাবুর্চি অ্যাঞ্জেলিটো আরানেটা জুনিয়র তখন তাতে নরওয়েজীয় স্যামন, ফ্যো গ্রাস আর বুনো জাফরানের সাথে আরও থাকবে ২৪ ক্যারট স্বর্ণ আর ০.২০ ক্যারট আফ্রিকান হীরা।
খেয়ে দেখুন স্বর্ণ!
এই ‘স্যুশি ডেল ওরিয়্যেন্ট’ এর ৫টি টুকরোর দাম ২৭৫০ ডলার। ভাবছেন এত দামি স্যুশি কেউই কিনবে না? তবে ভুল ভাবছেন। ম্যানিলা বংশোদ্ভুত এই বাবুর্চি জানান তার এই দামি স্যুশি মূলত ব্যবহৃত হয়ে থাকে বিবাহের প্রস্তাব আর পূর্বরাগের সময়। তিনি এই খাবারটি প্রথম তৈরি করেন ২০১০ সালে।
খেয়ে দেখুন স্বর্ণ!
সব শেষে রয়েছে স্বর্ণের তৈরি কেক। এর এক টুকরার দাম ২৫০০ ডলার। তাহলে পুরোটার দাম কত হতে পারে? স্বর্ণ আর হীরার এই কেক এর পুরোটার দাম পড়ছে মাত্র ২০,০০০ ডলার। এটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ২ ক্যারট হীরা আর ২৪ ক্যারট স্বর্ণ।
স্বর্ণ খাওয়া যায় জেনে এখন গলার হারগুলো হাঁড়িতে করে চুলোয় দিয়ে সত্যি সত্যি কেউ রান্না শুরু না করলেই হল!
(ঢাকাটাইমস/১৫ জানুয়ারি/বিএফএইচ/ এআর)
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়