কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নিজেকে সাজাতে অথবা ঘর রাঙিয়ে তুলতে ফুল ব্যবহারের কোনো তুলনাই হয় না। একটি ফুলের কাছে অনেক দামি উপহারও মূল্যহীন হয়ে যায়। প্রিয়জনের হাতে একটি ফুল তুলে দেয়ার পর যে হাসি তার মুখে ফুটে ওঠে, তা লাখ টাকার চেয়েও দামি।
এখন ঘর সাজাতে ব্যবহার করা হয় অনেক ধরনের পণ্য। তার কোনোটা কাঠ দিয়ে তৈরি, কোনোটা মাটি আবার কোনোটা স্টিলের। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও ফুলের ব্যবহার একেবারেই অন্য রকম। পহেলা বৈশাখ অথবা ফাল্গুন কিংবা বাড়িতে যে কোনো অনুষ্ঠানে সবাই চেষ্টা করে ঘরের এক কোণে ফুলদানিতে ফুল রেখে শোভা বাড়ানোর।
শুধু সামাজিক উত্সবেই নয়, বাঙালিরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও ঘর সাজায় ফুলের সৌরভে। ঈদ থেকে শুরু করে পূজা— কোনোটায় বাদ যায় না এর ব্যবহার। কেবল বাংলায় নয়, বিদেশেও ফুলের ব্যবহারে কমতি নেই। বাইরের অনেক দেশেই প্রচলন আছে কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে মিষ্টান্নের সঙ্গে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানানো।
শুধু ঘর নয়, নিজেকে সাজাতেও ফুলের জুড়ি নেই। আমাদের বিভিন্ন সামাজিক উত্সবে মেয়েরা শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল দিয়ে নিজেকে সাজায়। এছাড়া বিয়েতে ফুলের ব্যবহার একটু বেশিই। শুধু বিয়ে নয়, কারো জন্মদিন হলেও সেখানে দেখা যায় ফুলের বাহার। তবে এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও ফুলের ব্যবহার চেখে পড়ার মতো।
ফুল কিনতে কোথায় যাবেন?
এখন ঢাকা শহরের প্রায় সব এলাকায় ছোটখাটো ফুলের দোকান আপনি পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। অনেকে রাস্তার পাশে বসে ফুলের পসরা নিয়ে। আবার দেখা যায় ছোট ছোট ছেলেমেয়রা বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফুল বিক্রি করছে। তবে একসঙ্গে অনেক ফুলের সমাহার পেতে চাইলে আপনাকে একটু কষ্ট করে চলে আসতে হবে শাহবাগে। শাহবাগের মোড়ে আপনি প্রায় ২৪ ঘণ্টাই পাবেন ফুল। মানে ২৪ ঘণ্টাই এখানকার বেশির ভাগ ফুলের দোকান খোলা থাকে।
শাহবাগে কেবল দেশী নয়, পাবেন নানা ধরনের বিদেশী ফুলও। দেশী ফুলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— গোলাপ, বেলী, রজনীগন্ধা, লিলি, গাঁদা ইত্যাদি। বিদেশী ফুলের মধ্যে রয়েছে— ঝাড়বেলা, অর্কিড, মাম, বিদেশী লিলি ফুল।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়