ঢাকা:ভারতের খোলা বাজার থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
যুগ্ম সচিব জানান, ভারতের এনএনবিএ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে। এ জন্য কোম্পানির ইউনিট প্রতি দশমিক ০৪৯৬৩ টাকা চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতে বিদ্যুৎ বেচা-কেনার খোলা মার্কেট রয়েছে (শেয়ার মার্কেটের মতো)।যেখানে খোলা বাজারে বিদ্যুৎ কেনা বেচা হয়। প্রতি ১৫ মিনিট পর পর দর পরিবর্তিত হয়।তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য পড়বে প্রায় ৪ দশমিক ৭৪ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবে দৈনিক সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।এক বছরে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ সর্বোচ্চ ২৩১ কোটি টাকা প্রয়োজন পড়বে। ডে অ্যাহেড সিডিউলের ভিত্তিতে ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রীডের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ আসবে।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০১৩ সালের ৫ আগস্ট থেকে ভারতের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রীড উপকেন্দ্র দিয়ে ৫’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ত্রিপুরা থেকে আরও এক’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য লাইন নির্মাণাধীন রয়েছে।
শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টে ডুয়েল ফুয়েল পদ্বতিতে সংযোগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
এ দিন ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ২ হাজার ৮৩১ টি ল্যাপটপ ও ২ হাজার ৮৩১ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এ ছাড়া নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ড্রেজার, ক্রেনবোর্ড, টাগবোর্ড, অফিসার্স হাইজবোর্ড ও ক্রু-হাউজবোর্ডের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি (তরলিকৃত প্রকৃতিক গ্যাস)টার্মিনাল স্থাপনের অনুস্বাক্ষরিত খসড়া টার্মসীট চুক্তি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়