Sunday, January 11

সাত বছর আগের ডায়েরি-ক্যাসেট দেখবে এনআইএ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: খয়েরি রঙের একটি পকেট ডায়েরি। তাতে রয়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি জায়গা সম্পর্কে তথ্য এবং কয়েক জনের নাম ও ফোন নম্বর। যাবতীয় ফোন নম্বরই বাংলাদেশের। সাড়ে সাত বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের পরিত্যক্ত এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরি এখন খাগড়াগড়-বিস্ফোরণের তদন্তে দেখতে চাইছে এনআইএ। তাদের সন্দেহ, ডায়েরিটিতে জেএমবি-এর কয়েকজন সদস্যের নম্বর লেখা। আর সে জন্যই খাগড়াগড়-কাণ্ডের সূত্রে পাওয়া জঙ্গি চক্রের কয়েকজনের হদিস ওই সব তথ্য থেকে মিলতে পারে বলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। লালগোলার ফতেপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ২০০৭-এর ৯ এপ্রিল পুলিশ জেহাদি মতাদর্শ ও দেশ-বিরোধী প্রচারের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের এক জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ডায়েরি। ওই ডায়েরি দেখতে আদালতে কিছু দিনের মধ্যে আবেদন জানাবেন খাগড়াগড়-কাণ্ডের তদন্তকারী দল। এনআইএ-র এক কর্মকর্তা জানায়, ‘খাগড়াগড়-তদন্তে জঙ্গি-চক্রের শিকড় খুঁজতে অনেক পুরনো মামলা সম্পর্কে খোঁজ নিতে হচ্ছে। লালগোলায় ২০০৭-এর ওই মামলা তো সে ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ লালগোলায় বাজেয়াপ্ত একটি অডিও ক্যাসেটও পরীক্ষা করে দেখতে চায় এনআইএ। লালগোলা থানার পুলিশের একটি দল বাঁশঝাড়ে ঘেরা জরাজীর্ণ বাড়িতে পৌঁছে দেখে সাত-আট জন বসে আছে একটি ক্যাসেট রেকর্ডারের সামনে। আর তাতে বাজছে, মুজাহিদরা জাগো, ওসামা বিন লাদেনের পথই সঠিক, আর দেরি নয়, চলো অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামি। খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থল থেকে জেহাদি প্রচার সংক্রান্ত, বাংলাদেশ থেকে আসা কয়েকটি অডিও ও ভিডিও সিডি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। লালগোলায় উদ্ধার হওয়া ওই ক্যাসেটের সঙ্গে খাগড়াগড়ে পাওয়া সিডি তাঁরা মিলিয়ে দেখবেন। তদন্তকারীদের মতে, ওই ক্যাসেটটিও বাংলাদেশ থেকেই ভারতে ঢোকে। তবে এনআইএ-র এক তদন্তকারী বলেন, সাড়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে পড়ে থাকার পর ওই ক্যাসেট আদৌ শোনার মতো আছে কি না, সেটাই চিন্তার।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়