মেজর অব. মো. আখতারুজ্জামান
সহিংসতা আন্দোলনের ক্ষতি করছে, সেই সঙ্গে সরকারকেও চাপে রাখছে। সহিংসতা আমিও চাই না। কারণ সহিংসতা করে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করা যায় না, যা একমাত্র সংলাপের মাধ্যমেই সম্ভব।
একগুঁয়েমি রাজনীতিতে বা নেতাদের সংলাপে আসতে বাধ্য করার জন্য কখনও কখনও সহিংসতার বিকল্প থাকে না, যা এই মুহূর্তে আমাদের সামনে প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন উভয় পক্ষের জন্য সহিংসতা করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নাই।
বর্তমান সমস্যার সমাধান সংলাপ ছাড়া সম্ভব নয়। সংলাপে আসতে হলে সহিংসতা বাড়াতেই হবে এবং সন্ত্রাসই সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিবে। ম্যাডামের এই মুহূর্তে হারানোর কিছুই নাই। তিনি তার আন্দোলনে ১০০% ভাগ সফল। সরকার এখন প্রচণ্ড চাপে আছে। আন্দোলন ইতিমধ্যেই সরকারের সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বক্তৃতায় বলেছেন। এখন সরকারের পদক্ষেপের অপেক্ষা মাত্র।
আর কয়েকটা দিন সহিংস আন্দোলন চললে সরকার নিজেও সহিংসতার পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে অর্থাৎ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার মহেন্দ্রক্ষণ এসে যাবে। ষোলকলা পূর্ণ হবে এবং আন্দোলনের নতুন পথ ও মাত্রা যোগ হবে। সব কিছুই করা হবে সংলাপ পরিহার করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সমস্যার সমাধানে উভয়পক্ষের জন্য সম্মানজনক পথ হল একমাত্র সংলাপ। তাই দুঃখ নিয়ে বলতে হয়- জয় সহিংস রাজনীতি অথবা সহিংস রাজনীতি জিন্দাবাদ।
আমার অনেক বন্ধু এই মুহূর্তে ম্যাডামের সঙ্গে আমার দেখা করা উচিত বলে আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের পরামর্শের জবাবে বিনীতভাবে বলতে চাচ্ছি, এই মুহূর্তে যারা ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করছে, তারা মূলত সরকার যে দাবি করছে ম্যাডাম অবরুদ্ধ নয় তাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। এই মুহূর্তে আমার মতামত হল আমরা কেউ যেন ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে না যাই, এমনকি বাহির থেকে খাবার দাবার পাঠানোও বন্ধ রাখতে হবে। তাতে একদিক দিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে সেই সঙ্গে সরকারের উপরও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে। সরকার তখন ম্যাডাম অবরোধ নয় বলতে পারবে না।
কাজেই ম্যাডামের সঙ্গে আপাতত দেখা করা আন্দোলনের বৃহত্তর স্বার্থে বন্ধ রাখা সঠিক হবে কিন্তু ম্যাডামের চাটুকরেরা তা করতে দিবে না। আমি দেখা করে কি আন্দোলন বা ম্যাডামের কোনো উপকার করতে পারব? উল্টো ক্ষতি হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়