রংপুর: বাংলাদেশ পুলিশের আইজি একেএম শহিদুল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কিছুটা নিষ্ক্রিয়তা এবং দুর্বলতার কারণে এখানে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তা না হলে তারা এত শক্তিশালী হতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘তারা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা জনগণকে কি ভাবে মারছে। এই জিনিসটা আপনাদের বুঝতে হবে। শুক্রবার দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।’
গত ১৩ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুরের বাতাসন এলাকায় অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় এক সুধী সমাবেশে পুলিশের আইজি এবং র্যাবের মহাপরিচালক রংপুরে আসেন। তারা নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার করে টাকা তুলে দেন। পরে স্থানীয় এক স্কুল মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তারা। এরপর তারা ঘটনাস্থল বাতাসন পরিদর্শন করেন।
পুলিশের আইজি বলেন, ‘আমরা কথা বললেই বলে আমরা রাজনীতির কথা বলি, কিন্তু আমি তো ট্যাক্স দেই, এদেশের ভালোমন্দে একটা তো মতামত থাকবে। আমার প্রশ্ন আজকে যারা হরতাল করছেন অবরোধ করছেন, মানুষ মারছেন, কী কারণে। গণতান্ত্রিক দেশ জনগণের দেশ এর মালিক জনগণ। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে জনগণের ভোটে।
তিনি বলেন, আপনারা যদি মৌলবাদী সংগঠনের দোষর হয়ে যান। এর চেয়ে দু:খের আর কি আছে। তারা তো জাতীর জন্য হুমকি।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যারা এখনো স্বপ্ন দেখেন পাকিস্তানের। যাদের এখনো পাকিস্তান-পিরীতি আছে, তাদের চরিত্র এখনো বদলায়নি। তাদের মনুষ্যত্ব নেই। তাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা নেই। তাদের সাথে কেন থাকবেন। এটা লজ্জার বিষয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মিঠাপুকুর গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি এলাকা সন্ত্রাসী এলাকা হিসাবে পরিচিত। কেন এটা হবে। এটা লজ্জার বিষয়। এটা হতে পারে না। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, রংপুর ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, জেলা প্রশাসক ফরিদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজাম্মেল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়