Friday, December 12

অরিজিতের সুরের মূর্ছনায় মেতেছে দর্শক


ঢাকা: সুরের সাতসাগর ঢেলে দিলেন অরিজিৎ সিং। মোহময় সুরের ভুবনে নিয়ে ঢাকাকে মাতিয়ে দিলেন ভারতীয় সংগীতের এই সেনসেশন। তার সুরের মূর্ছনা, ঝঙ্কার আর জাদুতে বন্দি হয়ে গিয়েছিল রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতা। ১২ ডিসেম্বর রাতে এখানে তার পরিবেশনা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন সবাই। বিশাল মঞ্চে গেয়ে, গিটার বাজিয়ে অরিজিৎ সুরের জাদুতে মোহাবিষ্ট করে রেখেছিলেন সংগীতপিপাসুদের। মুর্শিদাবাদের ২৭ বছর বয়সী এই গায়ক একেকটি গান পরিবেশন করেন আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে দর্শক।‘অলিটালিয়া অরিজিৎ সিং লাইভ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ইমেকার্স। অরিজিতের আগে একে একে সংগীত পরিবেশন করেন নির্ঝর, রেশমি, কর্নিয়া ও ইমরান। এরপর জনপ্রিয় কয়েকটি গানের তালে নেচেছেন অভিনেতা নিরব, অভিনেত্রী শখ ও জেবিন। বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা শেষে বিজয়ের মাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ঘড়ির কাঁটা তখন পেরিয়েছে রাত ৮টার ঘর। মঞ্চে ও দু’প্রান্তে বড় পর্দায় দেখানো হলো অরিজিৎ সিংয়ের জনপ্রিয় গানগুলোর অংশবিশেষ ও পুরস্কারপ্রাপ্তির ভিডিওচিত্র। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে হাজির হলেন অরিজিৎ। শুরুই করেছেন নিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘আশিকি টু’ ছবির ‘তুম হি হো’। শীতকে দূরে রাখতে জ্যাকেট পরেছিলেন তিনি। প্রথম গান শেষ করে বললেন, ‘বাংলাদেশ, কী খবর?’ এ কথা শুনে উল্লাস বেড়ে গেলো দ্বিগুণ! তারপর দুঃখ প্রকাশ করে অরিজিৎ বললেন, ‘৫ ডিসেম্বর কনসার্টটি করতে না পারায় আমি আবার দুঃখ প্রকাশ করছি। সবাই জানেন কি-না আমার চোখে সংক্রমণ হয়েছিলো। এ কারণে না পিছিয়ে উপায় ছিলো না।’ তারপর আবার গান গাইতে শুরু করলেন। ফাঁকে ফাঁকে তার সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন ভারত থেকে আসা গায়িকা সুপ্রিয়া পাঠক। মঞ্চে ছিলো বাদ্যযন্ত্রশিল্পীর দল ও দু’জন সহ-কণ্ঠশিল্পী। বিরতির পর কয়েকটি গান শুনিয়ে নিজের আরেক তুমুল জনপ্রিয় গান ‘মুসকুরানে’ পরিবেশনের ফাঁকে অরিজিৎ বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিলো, এখানে নাকি অনেক শিল্পীকে আনার কথা বলা হয়। কিন্তু নানা সমস্যায় তাদের অনেককেই নাকি শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। ৫ ডিসেম্বর কনসার্ট বাতিল হওয়াতে আমাকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও সেটা নিশ্চয়ই এখন কেটে গেছে। সেদিক দিয়ে এটা একটা নতুন শুরু।’ হিম কনকনে ঠান্ডায় অরিজিতের সুরের সাগর যেন শীতলে আমেজ আরও বাড়িয়ে দিলো। হিন্দি আর ভারতের বাংলা ছবির গানের পাশাপাশি আমাদের তপুর ‘এক পায়ে নূপুর’, জেমসের ‘ভিগি ভিগি’, ‘আলবিদা’। বাংলাদেশি শিল্পীদের গান যে তার শোনা সেই বার্তাও দিয়ে গেলেন তিনি। ধন্যবাদ অরিজিৎ, আপনি আবার আসবেন। আপনাকে আবার স্বাগত জানাবে ঢাকা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়