Saturday, December 13

কানাইঘাটে ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারের ফরিদ ম্যানশনের পাশে অবস্থিত অনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩ শতক দোকান কোঠা শ্রেণির জমি নিয়ে দারুল উলূম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং নয়াতালুক গ্রামের মঈন উদ্দিন গংরা নিজেদের দাবী করায় এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ভূমি খন্ডটি উভয় পক্ষ দাবী করায় আজ শনিবার বেলা ১টায় কানাইঘাট সেটেলম্যান্ট অফিসের ৩১ধারার সার্ভেয়ার সামছুদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে দখলীয় প্রতিবেদন নোট করার পর ফিরে গেলে দারুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্ররা ভুমি খন্ডটি মাদ্রাসার সম্পত্তি দাবী করে ঘর নিমার্ণের চেষ্টা করলে মঈন উদ্দিন ও তার বোনেরা বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও দস্তাদস্তি শুরু হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার এস আই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তিনি উভয় পক্ষকে জমির কাগজ পত্র থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দারুল উলূম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯৯২ ইং সনে শ্রীপুর গ্রামের মাষ্টার সামছুল ইসলামের কাছ থেকে ১২ শতক জমি তারা দলিল মূলে খরিদ করেন। জমির রের্কড মাদ্রাসার নামে রয়েছে। মঈন উদ্দিন গংরা অযথা মাদ্রাসার সম্পত্তি আত্বসাৎ করার জন্য নানা পায়তারা করছে। তার বাড়ির উশৃঙ্খল মহিলারা মাদ্রাসার তালেবাদের গতকাল লাঞ্চিত পর্যন্ত করে। এছাড়া মঈন উদ্দিন মাদ্রাসার সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য ২টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অপর দিকে মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন পৈত্রিক ও খরিদা সূত্রে ৩ শতক জমির মালিক তিনি। ১৫ বছর ধরে উক্ত ভুমির উপর তার নির্মাণাধীন দোকান কোঠা ছিল। মাদ্রাসার ছাত্ররা তার দোকান কোঠা ভেঙ্গে ফেলে ভুমি খন্ডটি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা প্রদান করলে ছাত্ররা তার বোনেদের শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়