Thursday, December 25

হাবিব-উন-নবী সোহেলের বাসায় পুলিশের তল্লাশি!


ঢাকা: ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁর শান্তিনগর সংলগ্ন কাকরাইলের বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। রাত ৮টার পর পরই পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দলের এই সভাপতির বাসায় ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। তবে সোহেল এ সময় বাসায় ছিলেন না বলে জাান গেছে।ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।তবে সোহেলের ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টার পরও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এ ব্যাপারে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার মনিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সোহেল বাসায় তল্লাশির ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় ও অতিরিক্ত উপকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি। এর আগে বুধবার রাতে হাবিব -উন-নবী খান সোহেলসহ বিএনপির দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ।সেই সূত্র ধরেই পুলিশ অভিযানে অংশ নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় সংঘর্ষ এবং এক সাংসদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গতরাতে বিএনপিকর্মীরদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও চকবাজার থানায় মামলা দুটি করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ ও চকবাজার থানায় বুধবার রাতে দায়ের করা এসব মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামূল হাসানের নাম উল্লেখ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের স্থানীয় পর্যায়ের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনা-১ আসনের সাংসদ ছবি বিশ্বাসের গাড়ি পোড়ানো ও তাকে আহত করার ঘটনায় ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগও আনা হয়েছে। শাহবাগ থানায় দায়ের করা এ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি দেখিয়েছেন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক সাহেব আলী। শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিল হোসেন বলেন, “সংসদ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ, জখম, গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও নগদ অর্থ ও মোবাইল চুরি এবং সরকারি কাজে বাধা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।” তিনি জানান, ২৩ আসামির মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কেউ নেই, অধিকাংশই যুবদল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাকর্মী। তাদের আটজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে বকশীবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করেছেন উপ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, এ মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আসামির তালিকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবারই চকবাজরের পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়