Thursday, December 18

জেলে বসেই গলাকাটা সাত্তারকে হত্যার পরিকল্পনা হয়


ঢাকা: জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যে বসেই আফজাল হোসেন ওরফে গলাকাটা সাত্তারকে হত্যা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে মো. মাসুদ হাসান ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই গলাকাটা সাত্তারকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র পাকা করা হয়। আফজাল হোসেন হত্যা মামলায় এজাহারভূক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মো. মাসুদ হাসানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ মামলায় এজারভূক্ত আসামি হিসেবে বুলুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে রিমান্ডেও নেয় পুলিশ। তবে বুলু পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি। র‌্যাব-২ এর পরিচালক মিডিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে মিরপুর থানার শেওড়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডের সামনে শ্বশুড়বাড়ি থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মো. মাসুদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ মূলত ঝিগাতলায় বসবাস করে। মারুফ আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালে গলা কাটা সাত্তারের তিন ভাই নবাবগঞ্জ সেকশন ঢালে মাসুদের বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।এই ক্ষোভকে পুঁজি করে মাসুদ গলাকাটা সাত্তারকে খুনের পরিকল্পনা করে। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ জানায়, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ধানমন্ডির ইমন জেলে বসেই এই পরিকল্পনা করে এবং এর পর চার মাস ধরে গলাকাটা সাত্তারকে নজরে রাখা হয়। ঘটনার ৪ মাস আগে হত্যা মামলার আসামি হাজারীবাগের ইব্রাহীম খলিল ওরফে বুলু ও মাসুদের সাথে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে জেল থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলে ইমন। জেলে বসেই মোবাইল ফোনে হত্যা পরিকল্পনার দিক নির্দেশনা দিতে থাকে ইমন। এরই ধারাবাহিকতায় বুলু, লিংকন ও মাসুদ মিলে গলাকাটা কাটা সাত্তারের উপর নজরদারী শুরু করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাধিক মাঠকর্মী নিয়োগ করে তার গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার তাকে হত্যা চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। এক পর্যায়ে বুলু, মাসুদ ও লিংকন মরিয়া হয়ে উঠে।পরে গনি নামক একজন শুটারকে এই কাজ সম্পৃক্ত করার পর তারা সফল হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে হত্যা করা হয়। পরে ঝিগাতলায় শুটার গনিই প্রথমে গলাকাটা সাত্তার লক্ষ্য করে গুলি করে এবং তাতেই কাজ হয়। এসময় ঐ এলাকায় মাসুদ, মনির, রজত, রানা, তাপস ও লিংকন অবস্থান নেয়। ঘটনার পূর্বে তারা সাত্তারের গতিবিধি লক্ষ্য করে ও ঘটনা সংঘটিত হবার পর সবাই যার যার মত করে পালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত গত ১৪ ডিসেম্বর যোহর নামাযের পর দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটার সময় ঝিগাতলার তিন মাজার মসজিদ এলাকায় আফজাল হোসেন সাত্তার নামে একজন চামড়া ব্যবসায়ী জনসম্মূখে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়