ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সরকারের মুখপাত্র নয় বরং জনগণের মুখপাত্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিটিভির সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীত যেসব দল ক্ষমতায় ছিল তারা সব সময় গণমাধ্যমকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন- বিটিভি কেবল সরকারের নয়, এটি জাতীয় টেলিভিশন। বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিটিভি শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাবে।
অতীতে বিটিভিকে ক্ষমতা দখলের কাজে ন্যাক্কারজনকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিটিভিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসক জিয়া (প্রয়াত জিয়াউর রহমান) শুধু স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদরদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেননি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। জিয়াসহ ৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসকরা বিটিভিকে ব্যবহার করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির হাতিয়ার হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিভি এখন সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, নির্মল বিনোদন এবং রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান ও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির পরিচিতি, প্রসার ও ঐতিহ্য রক্ষায় বিটিভি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর রামপুরা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে জাঁকজমক পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে এর সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। সাত দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দেশের শিল্প সংস্কৃতি জগতের সকল মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় বিটিভি ভবন।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ডিআইটি ভবনে টেলিভিশনের বাংলা ভাষায় কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম মহাপরিচালক জামিল চৌধুরী এবং প্রথম দিনের সম্প্রচারে অংশ নেওয়া দেশের প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়