Thursday, December 18

নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বললেন খালেদা


ঢাকা : দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বেগম জিয়া বলেন, শুধু তালি ও শ্লোগান দিলে হবে না। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকুন, যে কোনো সময় আন্দোলনে নামার ডাক দেওয়া হবে। এবার আর ঢাকার রাজপথ খালি যাবে না। আর সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুলি চললে জনগণ তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস থাকলে আমার বাড়ির সামনে বালুর ট্রাক ও পুলিশ মোতায়েন করবেন না, এরপর দেখুন আমরা কিছু করতে পারি কি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ১৯৯০ সালের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য আয়োজিত কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসনে আতঙ্ক বিরাজ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার সাথে সচিবরা বৈঠক করেছে বলে তাদের চাকরি চলে যাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়নি। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তাদেরকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। কারণ তারা জানেন সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনি যদি বিডিআর হত্যাকারী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তাহলে আমি কেন সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারবো না? তিনি বলেন, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সময় আমার বিরুদ্ধে ৫টি ও হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু হাসিনার মামলাগুলো কেনো খারিজ করা হলো? কারণ মামলা চালু থাকলে হাসিনার শাস্তি অনিবার্য। শেখ হাসিনার মামলাগুলো পূন:রায় চালু করার জন্যও বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলার মাঠ সমতল না হলে খেলা যাবে না। এই কারণে আগে খেলার মাঠকে সমতল করতে হবে। অন্যথায় যতই ভালো দল হোক না কেনো হার সুনিশ্চিত। তাই খেলার আগে মাঠ ঠিক করতে হবে। আর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশকে গিলে খাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের জীবন নষ্ট করছে। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ফের র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বলেন, র‌্যাব বাতিল করতে হবে। কারণ র‌্যাব আজ পেশাদার খুনিদের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরো উপস্থিত আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তুর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, আসাদুজ্জামান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়