Friday, December 12

কানাইঘাটে অগ্নিদগ্ধ তসলিমার করুন মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণপুর গ্রামের এক সন্তানের জননী অগ্নিদগ্ধ অন্তঃ সত্তা তসলিমা বেগম (২০) ১৪ দিন সিলেট ওমেক হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার পর মারা গেছেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় কানাইঘাট বাজারের ফ্লেক্সি লোড ব্যবসায়ী বিষ্ণপুর গ্রামের হেলাল আহমদ (২৫) এর স্ত্রী তসলিমা বেগম গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে নিজ বসত বাড়ীর রান্নাঘরে মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। তার স্বামী হেলাল আহমদের দাবী রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন তার স্ত্রী তসলিমা বেগমের শরীরে ছড়িয়ে পড়লে তার পুরো শরীর পুড়ে যায়। সাথে সাথে স্ত্রীকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে তাকে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭দিন পর তসলিমা বেগম একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রস্রব করেন। এরপর তসলিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তাররা তার পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করার জন্য গত বৃহস্পতিবার সকালে ছাড়পত্র দেন। এরপর ঐদিন তসলিমার পরিবারের সদস্য এবং স্বামী হেলাল আহমদ তাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসলে রাত ৮টার দিকে অগ্নিদগ্ধ তসলিমা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রাতেই তার জানাযার নামাজ শেষে গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তসলিমার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার তসলিমার বিষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে গেলে তার চাচা কামাল উদ্দিন জানান, তার ভাতিজি তসলিমা বেগম গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মারা গেছে। তসলিমার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়ে এলাকায় পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে। অনেকে জানিয়েছেন পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী হেলাল আহমদের উপর অভিমান করে গায়ে কেরেসিন ঢেলে তসলিমা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে তসলিমার পরিবারের সদস্য এবং তার স্বামী হেলাল আহমদ বলেছেন এসব অপপ্রচার, গ্রামের কিছু মানুষ এসব রটাচ্ছে। এটি একটি নিছক দূর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়। এব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। এব্যাপারে কোন অভিযোগ থানায় আসেনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়