Monday, November 17

হাকালুকিতে আসছে অতিথি পাখি, সক্রিয় শিকারিচক্র


সেলিম আহমেদ, মৌলভীবাজার: শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই হাকালুকিতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। সাইবেরিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আগত এসব পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই হাওর। আর কিছুদিন পরেই ঝাঁকে ঝাঁকে আসা এসব অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠবে হাওর এলাকার বিলগুলো। সেই সাথে সক্রিয় হয়ে উঠছে পাখি শিকারীরা। খাবারের সন্ধানে অন্যতম জলাশয় হাকালুকির বিলে নির্বিঘেœ খাবার সংগ্রহে নামতে পারছে না এসব অতিথি পাখি। কিছু বিলে অতিথি পাখি নামলেও বিষটোপ দিয়ে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার। এসব পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসনেরও নেই কোন উদ্যোগ। হাকালুকিতে আসছে অতিথি পাখি, সক্রিয় শিকারিচক্র এশিয়ার বৃহৎ হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের একটি অন্যতম মিঠাপানির জলাভূমি। পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় ও পূর্বে পাথারিয়া মাধব পাহাড়বেষ্টিত এ হাওর সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলায় বিস্তৃত। ছোট-বড় প্রায় ২৩৮টিরও বেশি বিল ও ছোট-বড় ১০টি নদী নিয়ে গঠিত এ হাওর বর্ষাকালে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর এলাকায় পরিণত হয়। এই হাওরে বাংলাদেশের মোট জলজ উদ্ভিদের অর্ধেকেরও বেশি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটাপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পাওয়া যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসে নানা প্রজাতির রঙ- বেরঙের লাখ লাখ অতিথি পাখি। পাখিগুলোর অবাধ বিচরণে অন্যরকম সৌন্দর্য ফুটে ওঠে হাওরের বিলগুলোতে। পাখি শিকারিচক্র ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে বিলের পারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে ওৎ পেতে বসে থাকে। আর এসব বিষাক্ত খাবার খেয়ে শত শত অতিথি পাখি চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলে। তখন শিকারিরা এ সকল পাখি ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারের হোটেল-রেঁস্তোরা ও বাসা-বাড়িতে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। হাকালুকিতে আসছে অতিথি পাখি, সক্রিয় শিকারিচক্র হাওর এলাকার বিলগুলোতে অবাধে পাখি শিকার করা হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। এমনকি প্রশাসনিক অনেক কর্মকর্তার বাসা-বাড়িতেও শীতের এসব পাখি উপঢৌকন হিসেবে যায় বলেও সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক ঢাকাটাইমসের এ প্রতিবেদককে জানান, হাকালুকি হাওরটিতে আগের মতো পাখি আসে না। তারপরও বিলুপ্তপ্রায় পাখি থেকে শুরু করে দেশি জাতের অনেক পাখি সেখানে প্রতি শীতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আসে। সেগুলোকেও যদি রক্ষা না করা হয় তবে এ ব্যর্থতার দায় স্থানীয় প্রশাসনের। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ঢাকাটাইমসকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলার ইউএনওকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়