Thursday, November 13

সাবেক এমপির পুত্রবধুর ঝুলন্ত লাশ, পরিবার বলছে হত্যা


ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডি ছয় নম্বর সড়কের ১৪ নম্বরে বসবাসরত যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট টিপু সুলতানের পুত্রবধু ডা.মাহজাবীন কনার (২৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।টিপু সুলতানের পুত্র হুমায়ূন সুলতানের স্ত্রী কনা রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।পুলিশ নিহতের স্বামী হুমায়ুন সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মাহজাবিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বললেও তাঁর বাবা-মায়ের দিকের লোকজন বলছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড।কনার বাবা যশোরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম পিডব্লিওডির অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী, মা এক বছর আগে মারা গেছেন।কনার পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। সেন্ট্রাল হাসপাতালে উপস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের রমনা বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, তারা লাশের সুরতহাল করছেন। এটি আত্মহত্যা, না হত্যা- তা ময়নাতদন্ত হলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে কনার মামা কাজী শহীদুর রহমান ও কয়েকজন সহপাঠী ছাড়া শ্বশুর বাড়ির কাউকে দেখা যায়নি।কনার মামা শহীদুরের সন্দেহ, তার ভাগ্নীকে হত্যা করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট টিপু সুলতানের স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা বেগম পুত্রবধূ কনাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে হাসপাতালের কর্মীরা জানান। ডা. জেসমিন হলি ফ্যামিলির গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। অপমৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশও সেন্ট্রাল হাসপাতালে যায়। টিপু সুলতানের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি। ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখারুল আলম প্রধান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেণ।তিনি বলেছেন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।সাবেক এই সংসদ সদস্যের দাবি, শামারুফ মাহজাবিন কনা (২৪) আত্মহত্যা করেছেন বলে ।কনা নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেন যশোর আওয়ামী লীগের এই নেতা। ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার রেজাউল ইসলাম বলেন, “গতকাল একটি টেলিফোন কল নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়। এরপরে আজ সকালে তারা দুজনে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরে কনা বাসায় ফিরে কাজের বুয়াকে বলেছে, ‘আমার কাজ আছে’। এই বলে বেডরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। “পরে দুপুরে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাথরুমে গ্রিলের জানালার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।”

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়