Friday, November 14

মৃত্যুর আগে যা বলেছিলেন মেহজাবিন, শ্বশুড় পালিয়েছে


ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের ছেলের বউ ডা.মেহজাবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য উন্মোচন হতে শুরু করেছে। ডা.মেহজাবিনের প্রকৌশলী বাবা এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা করলেও পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার ছেলে হওয়ায় পুলিশ কিছুটা ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করেছেন বলেই দৃশ্যত মনে করা হচ্ছে।ডা. মেহজাবিনের বাবার দায়ের করা মামলায় নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর আসামি শ্বশুড় খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রীকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।পুলিশ বলছে তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।তারা তাদের ধানমণ্ডির বাসায় তালা দিয়ে পালিয়েছেন। তবে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। তবে নিহত মেহজাবিনের স্বামীকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদনও করা হয়েছে। আগামী রবিবার এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। তবে একমাত্র মেয়ে মেহজাবিন মারা যাওয়ার এক দিন আগে পিতার কাছে ফোনে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সম্পর্কে যে কথা বলে গেছেন তা আঁতকে ওঠার মতো। ঐ ফোনে বাবা-মেয়ের মধ্যে প্রায় ৩২ মিনিটি কথা হয়। এ সময় মেহজাবিন বাবাকে বলেন, বাবা আমি আর এ বাসায় থাকতে পারছি না। আমাকে নিয়ে যাও। যে কোনো সময় হুমায়ুন সুলতান (স্বামী) আমাকে মেরে ফেলবে। দীর্ঘ ফোনালাপে মেয়ে বাবাকে আরো বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আর পড়াশুনা করতে দিতে চাচ্ছে না। ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে দেয়নি। জানুয়ারির ১ তারিখে এফসিপিএস পরীক্ষাও দিতে দেবে না। মেয়ের এসব কথা শুনে বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, দুএকদিনের মধ্যে আমি ঢাকায় আসাছি তখন তোর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলে যাবো। তুই কষ্ট করে এফসিপিএস পরীক্ষাটা শেষ কর। মেয়েকে বুঝিয়ে ফোনলাপ শেষ করেন বাবা। বাবা আসলেন তবে মেয়েকে আর জীবীত পেলেন না। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে যশোর থেকে ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে ছুটে আসেন মেহজাবিনের বাবা নুরুল ইসলাম। হাসপাতালে মেয়ের লাশ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয় যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্র হুমায়ুন সুলতানের স্ত্রী শামারুখ মেহজাবিনকে (২৬) । সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে টিপু সুলতানের পরিবারের পক্ষে দাবি করা হলেও মেহজাবিনের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়