মাহবুবুর রশিদ:
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অসংখ্য ছোট বড় নদী বিধৌত অপূর্ব শোভায় শোভিত প্রাচীন জনপদটির নাম কানাইঘাট। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৫১.২ কিলোমিটার (৩২ মাইল) দূরে উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। সীমান্তকে ঘিরে রেখেছে খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড়। এর পাদদেশে অবস্থিত অসংখ্য টিলা,মণিপুরী টিলা,মিকিরপাড়া,লুহাজুড়ি সহ রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ স্থান। এই সৌন্দর্যের একটি প্রতীক হলো ঝুলন্ত ব্রীজ যা স্থানীয় লোকদের কাছে লটকনি ফুল নামে পরিচিত। এর অবস্থান কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে। ব্রীজটি ১৯২৫ সালে ইংরেজদের নির্মিত। ব্রীজের পিলারের এক মাথা থেকে অপর মাথায় যে,তার টানানো হয়েছে তা দেখতে অনেকটা ইংরেজী অর ইউ এর মত। ব্রীজের পাশেই রয়েছে বিশাল চা বাগান ও পাহাড়ী টিলার মনোরম দৃশ্যে। নিচে রয়েছে লেকের মতো নুন ছড়া নদী। নদীটি লোভা নদীর একটি শাখা। পাহাড়ের মাঝে বয়ে যাওয়া নদীর স্বচ্ছ পানি মুগ্ধ করে পর্যটকদের। ব্রীজের উপর বেড়াতে আসা পর্যটকরা আপন মনে ছবি তুলেন। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবার চোখে ভাসে। ব্রীজটি একনজর দেখার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন।
কি ভাবে আসবেন ঝুলন্ত ব্রীজেঃ
সিলেট শহর থেকে কানাইঘাটে আসতে হলে সিলেট-তামাবিল রোড অথবা,জকিগজ্ঞ রোডে কানাইঘাট উপজেলা সদরে আসা যায়। কানাইঘাট বাজার ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদীর দু’পারেই দু’টি বাস ষ্টেশন আছে। উপজেলা সদর থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকায় ঝুলন্ত ব্রীজে আসতে পারেন। এতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে কানাইঘাট বাজার থেকে (রিজার্ভ করে) ৮-৯শত টাকা খরচ পড়ে। তবে রিজার্ভ ছাড়াও নৌকা পাওয়া যাবে।
লেখকঃ মাহবুবুর রশিদ,সভাপতিঃ লোভাছড়া ট্যুরিষ্ট কাব।
খবর বিভাগঃ
দর্শনীয় স্থান
দর্শনীয় স্থান
প্রতিদিনের কানাইঘাট
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়