Tuesday, September 9

আসুন সবজিভোজীদের নিয়ে ভুল ধারণাগুলো শুধরে নিই


কানিউজ ডেস্ক:: যারা মাংসজাতীয় খাদ্য কম পছন্দ করেন বা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় সবজি জাতীয় খাবারই বেশি রাখেন তাদের নিয়ে অনেক মিথ বা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আসুন এ ব্যাপারে সত্যগুলো জেনে নেয়া যাক। মিথ : সবজিভোজীদের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে। বাস্তব : একটা সময়ে পুষ্টিবিদরাও এমনটাই মনে করতেন। কিন্তু এখন এই ভুল ধারণার অবসান হয়েছে। এখন আমরা প্রায় সবাই জানি যে, সবজিভোজীরাও তাদের খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পেয়ে থাকেন। আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্রময় ফল-মূল ও শাক-সবজি রাখতে পারেন তাহলে প্রোটিনের কোনও ঘাটতি হবেনা। মিথ : সবজিভোজীরা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। বাস্তব : যারা দুধ বা পনির খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের ব্যাপারেই সাধারণত এ ভুল ধারণাটা করা হয়ে থাকে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষাণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সবুজ ও পাতাবহুল সবজিতেও প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়া আরও দেখা গেছে যে, সবজিভোজীরাই বরং হাড় ক্ষয়জনিত রোগে কম আক্রান্ত হন। কারণ সবজিজাতীয় খাদ্য সহজেই হজম হয়। ফলে মানবদেহ সবজিজাতীয় খাদ্য থেকেই সবচেয়ে সহজে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারে। মিথ : সবজিভোজীদের খাদ্যাভ্যাস ভারসাম্যহীন। ফলে তারা সাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে থাকেন। বাস্তব : সত্য কথাটি হল সবজিজাতীয় খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন বা চর্বি কোনও কিছুরই ঘাটতি নেই। এছাড়া সবজিজাতীয় খাদ্য থেকেই মানবদেহের জন্য জরুরি টুকিটাকি পুষ্টি উপাদানগুলো পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। মিথ : বয়স্কদের জন্যই সবজিজাতীয় খাদ্য বেশ উপযোগী। কিন্তু শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন পেতে হলে মাংস খাওয়াটা জরুরি। বাস্তব : সবজি থেকে আসুক আর মাংস থেকেই আসুক সব প্রোটিনেরই পুষ্টিগুন এক। সব প্রোটিনই অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন হয়। আর শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য ১০ ধরনের মৌলিক অ্যামাইনো এসিড দরকার। মাংসের মতো শাক-সবজিতেও এই ১০ প্রকার অ্যামাইনো এসিডের সবকটি পাওয়া যায়। মিথ : মানুষ মাংসাশী প্রাণী। বাস্তব : মানুষ হয়তো সহজেই মাংস হজম করতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহ মূলত উদ্ভিদজাতীয় খাদ্যগ্রহণেই বেশি উপযোগী। প্রাণীজগতের উদ্ভিদভোজী প্রজাতিগুলোর সঙ্গেই আমাদের পরিপাকতন্ত্রের মিল বেশি। অথচ মাংসাশী প্রজাতির প্রাণীগুলোর সঙ্গে মানুষের পরিপাকতন্ত্রের কোন মিলই নেই। মানুষের মাংসাশী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত যুক্তি দেখানো হয় যে, মানুষের মাংস চিরে খাওয়ার মতো দাঁত রয়েছে। কিন্তু সত্য হল প্রাণী জগতের উদ্ভিদভোজী প্রজাতিগুলোরও এই দাঁত আছে। আর তাছাড়া মানুষ যদি মাংসাশী প্রাণীই হত তাহলে মাংস খাওয়ার ফল হিসেবে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতোনা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়