ঢাকা: টমোটো একটি পরিচিত খাবার। এমন ব্যক্তি কমই পাওয়া যাবে যিনি টমেটো পছন্দ করেন না।তরকারির পাশাপাশি সালাদ হিসাবেও এর কোনো জুড়ি নেই।এছাড়া টমেটোর আরও অনেক গুন আছে।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে টমেটো
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া রাতকানা রোগ প্রতিরোধও ব্যাপকভাবে কাজ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: গবেষণায় পাওয়া গেছে টমেটোতে প্রচুর পরিমানে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন থাকে, যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। বিশেষ করে ফুসফুস ক্যান্সার, পেট ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে টমেটো ঔষধের মত কাজ করে থাকে।
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে: গবেষণা বলছে প্রতিদিন একটি টমেটো শরীরে ৪০ ভাগ ভিটামিন সি’ এর যোগান দেয়। এছাড়া টমেটোর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও আয়রন দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ভিটামিক কে’ থাকায় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করেঅ
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: টমেটোতে লাইকোপেন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। প্রতিদিন টমেটো খেলে রক্তে কোলেস্টোরেল ও ট্রাইগ্লিসেরাইডের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে রক্তের চর্বি জমাও কমে যায়।
খাদ্য হজমে সাহায্য করে: নিয়মিত টমেটো খেলে পেটের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, সেই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া জন্ডিস ও রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে টমেটো।
ত্বকের যত্নে টমোটো
নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে ত্বকে লাইকোপিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ত্বককে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে। ত্বক অক্সিজেন পায়। ফলে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ে না। নিয়মিত ২০০ গ্রাম টমেটো খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না, স্কিন ক্যান্সার হয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে।
টমেটো রান্না করে বা কাঁচা দুভাবেই খাওয়া যায়। যাদের রোদের মধ্যে কাজ করতে হয় তাদের সানবার্ন বেশি হয়। তারা টমেটোর খোসা ফেলে রস বের করে নিন। সঙ্গে সামান্য ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন পাঁচ থেকে দশ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক শুষ্ক হলে এই মাস্কের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ত্বকে ময়লা জমে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ থেকে শুরু করে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এক চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে দুই থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। পনেরো থেকে বিশ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যাদের ত্বক নির্জীব ও অ্যালার্জির সমস্যা, তারা টমেটোর রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ টক দই মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি মাখুন। বিশ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক সতেজ ও কোমল থাকবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে
সমপরিমাণ টমেটোর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। টমেটোয় থাকা ভিটামিন-এ ও সি ত্বক ফরসা করে।
ওজন কমানোয় টমেটোর ভূমিকা
ওজন কমানোর জন্যও টমেটো কার্যকর! শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে একটি টমেটো খেতে পারেন। কাঁচা টমেটো খেতে না পারলে দিনে ২ গ্লাস টমেটোর রস পান করুন। এমনকি যাঁরা ডায়েট করতে চান তাঁরা খাওয়া শুরুর দশ মিনিট আগে এক গ্লাস টমেটোর রস পান করুন। ইচ্ছে করলেও বেশি খেতে পারবেন না। ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমবে ।
চুল
চুলের সুস্থতায়ও টমেটো কার্যকর। খুশকি দূর করতে এবং ঝলমলে চুলের জন্য টমেটো থেঁতো করে সুন্দরভাবে মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকির সমস্যা দূর হবে এবং চুলেও আসবে উজ্জ্বলতা।
(ঢাকাটাইমস
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়