কানিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ নয়, ভারতেই থাকতে চান বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যদি তাকে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়ও তাহলেও তিনি ভারতে থাকবেন। ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন পাওয়ার আশা দেখা দেয়ার পরই এমন মন্তব্য করলেন তসলিমা। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। তিনি বলেন, আমি ভারতে থাকতে চাই। আর কোথায়ই বা যাবো! আমি ইউরোপের নাগরিক আর যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু সাংস্কৃতিক যোগসূত্রের কারণে ভারতকে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশ যদি এখন আমাকে যাওয়ার সুযোগও দেয় তারপরও আমি জীবনের বাকি সময় ভারতেই কাটাতে চাই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে আমার বন্ধুর সংখ্যা বেশি। আমার মতো মতাদর্শ থাকলে, আত্মীয়স্বজন গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো কত মানুষ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বাস করে, তারাই পরিবার হয়ে যায়। বাংলাদেশী প্রকাশক ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেনি। কাজেই দেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভেঙে গেছে। তসলিমা নাসরিন এর আগে আবাসিক অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২ মাসের ভিসা অনুমোদন দেয়। এর মেয়াদ শুরু হয়েছে ১লা আগস্ট থেকে। এরপর তসলিমা নাসরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। ২০ বছর ধরে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন তসলিমা। ২০০৭ এ পশ্চিমবঙ্গ থেকেও চলে যেতে বাধ্য হন। কয়েকটি সরকারের বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে হতাশ তিনি। ভারতে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চান তসলিমা। তবে একই সঙ্গে হাতছাড়া করতে চান না ইউরোপিয়ান নাগরিকত্ব। তিনি বলেন, ২০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিনা কারণে আমাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এরপর আমি গৃহবন্দি ছিলাম। কারণ কতিপয় গুণ্ডা আর ধর্মীয় মৌলবাদী হায়দারাবাদ ও কলকাতায় আমার ওপর হামলা চালায়। তারা অপরাধ করেছে। কিন্তু শাস্তি পেয়েছি আমি। ভারতে রেসিডেন্ট পারমিট পেলেই সন্তুষ্ট তসলিমা। ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চান কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আমাকে ইউরোপিয়ান নাগরিকত্ব ছাড়তে হবে। আমি ইউরোপে থাকতে চাই না। কিন্তু ভারতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে অন্তত আমি ওই দেশগুলোতে যেতে পারবো।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়