Thursday, July 17

৫ দিনের রিমান্ডে এসআই জাহিদ

ঢাকা: ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন হত্যা মামলায় মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও পুলিশের সোর্স নাসিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহিদুর ও নাসিমকে সিএমএম আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি ইনস্পেক্টর নিবারন চন্দ্র বর্মন। মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন এলাকা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে ব্যবসায়ী সুজনকে তার ধানমণ্ডিস্থ শংকরের বাসা থেকে মিরপুর থানায় ধরে নিয়ে যান এসআই জাহিদ। এরপর স্ত্রী-সন্তানের সামনেই সুজনকে অমানুষিক নির্যাতন করে জাহিদ। পরে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজন। সেখান থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এসআই জাহিদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে ঘটনার তদন্তে মিরপুর বিভাগের এডিসিকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ।
মামলার দীর্ঘ এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই এসআই জাহিদুর রহমান ও সোর্স নাসিম আটককৃত মাহবুবুর রহমানকে থানা হাজতে না রেখে নিজ হেফাজতে রাখেন এবং মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে মহিলা হাজতখানায় রাখেন। এরপর রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে ভিকটিমকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হন। ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে এসআই জাহিদ মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন খানকে মোবাইল ফোনে জানান, সুজনের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
ক্লিনিক ও হাসপাতালের কথা বলা হলেও কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এজাহারে তার কোনো উল্লেখ নেই।
এজাহারে আরও জানা যায়, লাশের ময়না তদন্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আ খ ম শফিউজ্জামান মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেন, ‘In my opinion death was due to haemorhage & shok as a result of above mentioned injury which were antemortem & homicidal in nature’। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন বিরাজমান ছিল।
এছাড়াও এজাহারে উল্লেখিত সুজনের স্ত্রীর বক্তব্য হলো, বাসায় অভিযানকালে সুজনকে বাথরুমের দড়জা আটকিয়ে পেটানো হয়। থানায়ও তার স্বামীকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনি তার স্বামীর চিৎকার শুনেছেন।

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়