Saturday, March 29

২৯ ডিসেম্বর কালো দিবস পালন করা হবে

ঢাকা: গত ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি-জামাতপন্থীদের কর্মসূচি চলাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা যে ন্যাক্করজনক হামলা চালিয়েছে তার জন্য প্রতিবছর এই দিনটাকে কালো দিবস পালন করা হবে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন ২০১৪- সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনির সভাপতি রুহুল আমিন গাজী এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন শেখ মুজিব সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলো। তারপর থেকে আমরা ওই দিনটা কালো দিবস পালন করি। এই ২৯ ডিসেম্বরও আরেকটা কালো দিবস পালন করা হবে।’

সারা দেশ থেকে আগত সাংবাদিকরা তাদের এলাকার বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তারা সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানানোর পাশাপাশি নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খালেদা জিয়া এবং সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘যেসব গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে সেই সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন এবং সেইসব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।’ সাংবাদিক নির্যাতন ও গণমাধ্যমের ওপর আশা ক্রমাগত হুমকিতে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সকলের বক্তব্য শোনেন এবং তার বক্তৃতায় নানা প্রশ্নের জবাব দেন। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যম পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

আগামী রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বর্তমান  মহাসচিব শওকত মাহমুদ সভাপতি পদে ও মহাসচিব পদে এম এ আজিজ। এবং অপর প্যানেলে গোলাম মহিউদ্দিন খান সভাপতি ও মহাসচিব পদে ডিইজের সাবেক সভাপতি এলাহি নেওয়াজ খান সাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।  বেলা সোয়া ১২টায় অনুষ্ঠান স্থলে পৌছান খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ।

অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি আব্দুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের শামসুল হক হায়দারী, শাহ নেওয়াজ, খুলনার আনিসুজ্জামান, রাজশাহীর সরদার আব্দুর রহমান, বগুড়ার ফজলে রাব্বী ডলার, কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম মুকুল, যশোরের মহিদুল ইসলাম মন্টু, দিনাজপুরের জি এম হিরু, কুমিল্লার শাহ  আলম শফি, কক্সবাজারের আতাহার ইকবাল  প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়