ঢাকা: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সার্বিক পরিস্থিতি
শান্ত। মুসল্লিরা অনুকূল পরিবেশে নামাজ আদায় করছেন। অস্থির প্রাঙ্গণে
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তারা।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ওই এলাকা ঘুরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মুসল্লিরা জানিয়েছেন, মিছিল মিটিং বা মারামারির আতঙ্ক না থাকায় ইবাদতে তারা মনোযাগী হতে পারছেন এবং নামাজ শেষে একটি অবেগী আবহ নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন।
কিছুদিন আগেও এ মসজিদের উত্তর গেটে মিছিল মিটিং আর মারামারির কারণে নামাজের শেষে ছড়িয়ে পড়ত আতঙ্ক। তবে এখন সে চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
স্থানীয় মুসল্লি ও ব্যবসায়ীরাই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন বায়তুল মোকাররমে। এছাড়া ঢাকায় বিভিন্ন কাজে আসা দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। অন্যদিক শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ছুটে আসেন।
এমনি একজন মো. জাভেদ মিয়া। চাকরি করেন আমেরিকান টোবাকো কোম্পানিতে। থাকেন মুগদাপাড়া। জুমার নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন বায়তুল মোকাররমে। নামাজ পড়তে এসে নিরাপদ বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আগে অনেক ভয়ে ভয়ে এখানে নামাজ পড়তে আসতাম। এখন পরিস্থিতি অনেক নিরাপদ মনে হচ্ছে।’
তবে মো. বাচ্চু মিয়া নামে অপর একজন মুসল্লির কাছে এ ব্যাপরে জানতে চাইলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘এখানে আগে অনেকসময় মারামারি লাগত। তাতে আমাদের কিছু হতো না। হেরা হেরা মারামারি লাগত। আমাদের মতো আমরা চলে যেতাম। এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’
বায়তুল মোকাররমে র্দীঘদিন থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন ওই এলাকার মো. শাহআলম নামে একজন প্রবীণ মুসল্লি। তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল –মিটিং হতো। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে অনেক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও চলতো। সাধারণ মুসল্লিরা আতঙ্কে থাকতো। এখন আর ওসব নেই। তাই শান্তিতে নামাজ আদায় করতে পারছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতি আর ইবাদত আলাদা বিষয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে কীসের রাজনীতি? এসব করার অনেক জায়গা আছে। সরকারকে এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
এ মসজিদের উত্তর গেটে এখন মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ। সবসময় পুলিশে ঘেরা থাকে এ জায়গা। মুসল্লিদের মসজিদে ঢোকার সময় মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। তারপরও সেখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে এখনও।
এ ব্যাপারে সেখানকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাংলামেইলকে বলেন, ‘নামাজের আগে কিছুক্ষণ দোকান বন্ধ রেখেছি। নামাজের পর পরিস্থিতি দেখে খুলবো। বলা তো যায় না, হঠাৎ যদি কোনো মিছিল হয়।’
তিনি আরো জানান, মিছিল মিটিং হলে সংঘর্ষ হয়। মালামাল নষ্ট হয়। আমরা তখন জান বাঁচাবো না মাল বাঁচাবো। তাই মালামাল চুরি ও হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মাসুদ ছোটদের পোশাক বিক্রি করেন। তিনি বাংলামেইলকে জানান, জুমার নামাজের আগে তারা কিছুক্ষণ দোকান বন্ধ রাখেন। নামাজ শেষ হলে খোলেন। কারণ শুক্রবার এলেই তাদের মনে মিছিল মিটিং আর মারামারির ভয় জেগে ওঠে।
বাংলামেইল২৪ডটকম
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ওই এলাকা ঘুরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মুসল্লিরা জানিয়েছেন, মিছিল মিটিং বা মারামারির আতঙ্ক না থাকায় ইবাদতে তারা মনোযাগী হতে পারছেন এবং নামাজ শেষে একটি অবেগী আবহ নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন।
কিছুদিন আগেও এ মসজিদের উত্তর গেটে মিছিল মিটিং আর মারামারির কারণে নামাজের শেষে ছড়িয়ে পড়ত আতঙ্ক। তবে এখন সে চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
স্থানীয় মুসল্লি ও ব্যবসায়ীরাই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন বায়তুল মোকাররমে। এছাড়া ঢাকায় বিভিন্ন কাজে আসা দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। অন্যদিক শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ছুটে আসেন।
এমনি একজন মো. জাভেদ মিয়া। চাকরি করেন আমেরিকান টোবাকো কোম্পানিতে। থাকেন মুগদাপাড়া। জুমার নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন বায়তুল মোকাররমে। নামাজ পড়তে এসে নিরাপদ বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আগে অনেক ভয়ে ভয়ে এখানে নামাজ পড়তে আসতাম। এখন পরিস্থিতি অনেক নিরাপদ মনে হচ্ছে।’
তবে মো. বাচ্চু মিয়া নামে অপর একজন মুসল্লির কাছে এ ব্যাপরে জানতে চাইলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘এখানে আগে অনেকসময় মারামারি লাগত। তাতে আমাদের কিছু হতো না। হেরা হেরা মারামারি লাগত। আমাদের মতো আমরা চলে যেতাম। এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’
বায়তুল মোকাররমে র্দীঘদিন থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন ওই এলাকার মো. শাহআলম নামে একজন প্রবীণ মুসল্লি। তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল –মিটিং হতো। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে অনেক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও চলতো। সাধারণ মুসল্লিরা আতঙ্কে থাকতো। এখন আর ওসব নেই। তাই শান্তিতে নামাজ আদায় করতে পারছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতি আর ইবাদত আলাদা বিষয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে কীসের রাজনীতি? এসব করার অনেক জায়গা আছে। সরকারকে এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
এ মসজিদের উত্তর গেটে এখন মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ। সবসময় পুলিশে ঘেরা থাকে এ জায়গা। মুসল্লিদের মসজিদে ঢোকার সময় মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। তারপরও সেখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে এখনও।
এ ব্যাপারে সেখানকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাংলামেইলকে বলেন, ‘নামাজের আগে কিছুক্ষণ দোকান বন্ধ রেখেছি। নামাজের পর পরিস্থিতি দেখে খুলবো। বলা তো যায় না, হঠাৎ যদি কোনো মিছিল হয়।’
তিনি আরো জানান, মিছিল মিটিং হলে সংঘর্ষ হয়। মালামাল নষ্ট হয়। আমরা তখন জান বাঁচাবো না মাল বাঁচাবো। তাই মালামাল চুরি ও হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মাসুদ ছোটদের পোশাক বিক্রি করেন। তিনি বাংলামেইলকে জানান, জুমার নামাজের আগে তারা কিছুক্ষণ দোকান বন্ধ রাখেন। নামাজ শেষ হলে খোলেন। কারণ শুক্রবার এলেই তাদের মনে মিছিল মিটিং আর মারামারির ভয় জেগে ওঠে।
বাংলামেইল২৪ডটকম
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়