Saturday, March 15

‘হাসিনা-খালেদারে আমরাই খাওয়াই’

ঢাকা: ‘হাসিনা-খালেদা কেউ ভালো না। তাগো লাইগা আমরা ভাতে মরি। হেরাতো আমাগোরে খাওয়ায় না। আমরাই তাগোরে খাওয়াই। আমরাই আবার তাগো খাবার বন্ধ করে দিতে পারি।’
তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার উঠিয়া গ্রামের শরিফুল। তিনি রাজধানীর ফকিরেরপুলে একটি প্রেসের দোকানে কাজ করেন।

সোমবার সকালে তার নিজ কর্মস্থলে কথা হয় বাংলামেইলের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে।

রাজনীতি সম্পর্কে তার তেমন কোনো জ্ঞান না থাকলেও তিনি দেশের চলমান পরিস্থিতিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি তীব্র ক্ষোভের কথা জানান বাংলামেইলকে। পাশাপাশি তাদের নেতাদের প্রতি দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।

তিনি বলেন, ‘দেশ লিয়া চিন্তা করে লাভ কি? হেরা তো তা লিয়া ভাবে না। ক্ষমতার ভাগ লিয়া আমাগোর মাথায় বারি মারে। আমাগোর মতো ওয়াক্তের ভিখারীগারে দিয়া আবার দেশের কী উন্নতি অইবো? গরীব গরীবই থাকবো আর হেরা অইবো কুটিপতি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রাস্তার মানুষ, রাস্তায় থাকি। রাজনীতি জানি না, বুঝি না, করি না। কিন্তু সরকার যদি আমাদের কথা ধরে তাহলে আমার মনে হয় দেশ উন্নতি করতে পারবো।’

তিনি ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া হরতাল দিয়া কাম কাজ বন্ধ করে দেয়। আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কথা কয়া একা একা ভোট লিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আবার খামখেয়ালী শাসন শুরু করে দিলো। তিনি মিডিয়ার সামনে বসে আমাগোরে নিয়া বড় বড় কথা কয়। আর আমরা রাস্তায় ভাতে মরি।’

শরিফুল আরো বলেন, ‘দেশের অবস্থা দেইখা মনে হয় না কোনো সরকার আছে। গণতন্ত্রের কিছুই তো দেখি না। পুলিশ জনগণরে গুলি কইরা মারছে। বিরোধী দলরে খাঁচাই ভরছে। জনগণের কথায় তারা কান দেয় না। এইডাই কি গণতন্ত্র?’

গণতন্ত্রের সঠিক সংজ্ঞা জানেন না শরিফুল। কিন্তু তিনি সোজাসুজি এটাই বোঝেন- জনগণের মতামতের ভিত্তিতে যে সরকার পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র।

তার মতে যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে চলমান সঙ্কট নিয়ে জনগণের মতামত নিতে একটি গণভোট দেয়া হোক। সে রায় অনুযায়ী দেশ চালালে তবেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন শরিফুল।

শরিফুল দুই দলকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আসেন আপনারা খোলা মাঠে আসেন। বসেন। জনগণের মতামত নেন। প্রয়োজনে আপনাদের দাবির পক্ষে গণভোট দেন। জনগণের রায় অনুযায়ী কাজ করেন। জনগণ রায় জনগণকে ফিরাইয়া দেন। নিজের কাছে ক্ষমতা আছে বইলা যেমনে ইচ্ছা তেমনে ব্যবহার করবেন এইটাতো অয় না।’

শরিফুল আরো বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতীদের সঙ্গে নিলে দোষ। আর আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারীদের সঙ্গে নিলে দোষ অয় না। জামায়াত যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল তখন তারা ছিল দেশপ্রেমিক! বিএনপির সঙ্গে এসে হলো রাজাকার। আমি বলবো আপনারা দুই দলই এই দুই দলের সঙ্গ ছাড়েন। এরা বাংলার ঘৃণিত দল। আমাগোরে আর বোকা ভাইবেন না।’

বাংলামেইল২৪ডটকম/

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়