ঢাকা: প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছরের ইতিহাসের দলিলপত্র সংগ্রহে নেই
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। আর তাই সঠিক রাজনৈতিক ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ
নিয়েছে দলটি।
ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের কাছে দলিলপত্র বা সাংগঠনিক ইতিহাসের কাগজপত্র থাকলে তা সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র। বিশেষ করে- ১. দলটির বিভিন্ন সময়ের সংশোধিত ও সংযোজিত গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র থাকলে তা সরবারাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৫, ১৯৫৭, ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৯৭ সালের গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র।
২. নির্বাচনী ইশতেহার ১৯৭৩, ১৯৭৮ (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন), ১৯৭৯, ১৯৮১ (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন), ১৯৮৬।
৩. আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকের উপস্থাপিত রিপোর্ট। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৩, ১৯৫৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৬৮, ১৯৭৮, ১৯৮১।
৪. নির্বাচনের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া দলীয় প্রধানের রেডিও, টিভির ভাষণ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে ১০টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এই নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধধানের জাতির উদ্দেশে দেয়া রেডিও-টিভির ভাষন। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনের ভাষণ আওয়ামী লীগের সংগ্রহে রয়েছে। বাকি ১৯৭৩, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮-এর নির্বচানের আগে দেয়া ভাষণ।
৫. দলের বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালন করা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের তালিকা। এর মধ্যে ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৯৭ সালে কমিটিতে যারা ছিলেন। এছাড়াও দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দাবিনামা, লিফলেট, প্রস্তাবসহ বিভিন্ন দলিলপত্রও সংগ্রহ করে প্রকাশ করবে বলেও আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এসব দলিল কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে থাকলে সংকলন ও প্রকাশের জন্য দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌছোনোর জন্য আহ্বান করা হয়েছে। যে বা যারা এসব দলিলপত্রের মূল কপি/প্রামাণ্য ফটোকপি দলের কাছে হস্তান্তর করবেন সংগ্রাহক বা প্রদানকারী হিসেবে তার নাম প্রকাশনার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করা হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা কর্মে নিয়োজিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা সরকার গঠন করে বিভিন্ন সময় দেশের স্বাধীনতাত্তোর অনেক ইতিহাস সংরক্ষণের কাজ করেছি। এখন দলের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দলিলপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
তাহলে কি আওয়ামী লীগের কাছে ৬৫ বছরের ইতিহাস সংরক্ষণে নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণে নেই তা হবে কেন। যা রয়েছে এর বাইরেও যদি কিছু থেকে থাকে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে করে দলের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সংরক্ষণে থাকে।’
এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ ও দলের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য দলের নেতাকর্মীরা কাজ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। তাছাড়া স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী একটি দল। তাই সব দলিল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। আমাদের কাছে দলের অনেক ইতিহাস সংরক্ষণে রয়েছে। তার পরেও পূর্ণাঙ্গভাবে সংরক্ষণের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য দল ও দলের বাইরের কারো কাছেও যদি কোনো ইতিহাস সংরক্ষণে থাকে তা দেয়ার আহ্বান রইল। এমনকি তাদের নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ওই প্রকাশনায় সংযোজন করা হবে।’
বাংলামেইল২৪ডটকম/ এ
ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের কাছে দলিলপত্র বা সাংগঠনিক ইতিহাসের কাগজপত্র থাকলে তা সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র। বিশেষ করে- ১. দলটির বিভিন্ন সময়ের সংশোধিত ও সংযোজিত গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র থাকলে তা সরবারাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৫, ১৯৫৭, ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৯৭ সালের গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র।
২. নির্বাচনী ইশতেহার ১৯৭৩, ১৯৭৮ (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন), ১৯৭৯, ১৯৮১ (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন), ১৯৮৬।
৩. আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকের উপস্থাপিত রিপোর্ট। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৩, ১৯৫৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৬৮, ১৯৭৮, ১৯৮১।
৪. নির্বাচনের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া দলীয় প্রধানের রেডিও, টিভির ভাষণ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে ১০টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এই নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধধানের জাতির উদ্দেশে দেয়া রেডিও-টিভির ভাষন। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনের ভাষণ আওয়ামী লীগের সংগ্রহে রয়েছে। বাকি ১৯৭৩, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮-এর নির্বচানের আগে দেয়া ভাষণ।
৫. দলের বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালন করা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের তালিকা। এর মধ্যে ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৯৭ সালে কমিটিতে যারা ছিলেন। এছাড়াও দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দাবিনামা, লিফলেট, প্রস্তাবসহ বিভিন্ন দলিলপত্রও সংগ্রহ করে প্রকাশ করবে বলেও আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এসব দলিল কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে থাকলে সংকলন ও প্রকাশের জন্য দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌছোনোর জন্য আহ্বান করা হয়েছে। যে বা যারা এসব দলিলপত্রের মূল কপি/প্রামাণ্য ফটোকপি দলের কাছে হস্তান্তর করবেন সংগ্রাহক বা প্রদানকারী হিসেবে তার নাম প্রকাশনার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করা হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা কর্মে নিয়োজিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা সরকার গঠন করে বিভিন্ন সময় দেশের স্বাধীনতাত্তোর অনেক ইতিহাস সংরক্ষণের কাজ করেছি। এখন দলের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দলিলপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
তাহলে কি আওয়ামী লীগের কাছে ৬৫ বছরের ইতিহাস সংরক্ষণে নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংরক্ষণে নেই তা হবে কেন। যা রয়েছে এর বাইরেও যদি কিছু থেকে থাকে তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে করে দলের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সংরক্ষণে থাকে।’
এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ ও দলের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য দলের নেতাকর্মীরা কাজ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। তাছাড়া স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী একটি দল। তাই সব দলিল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। আমাদের কাছে দলের অনেক ইতিহাস সংরক্ষণে রয়েছে। তার পরেও পূর্ণাঙ্গভাবে সংরক্ষণের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য দল ও দলের বাইরের কারো কাছেও যদি কোনো ইতিহাস সংরক্ষণে থাকে তা দেয়ার আহ্বান রইল। এমনকি তাদের নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ওই প্রকাশনায় সংযোজন করা হবে।’
বাংলামেইল২৪ডটকম/ এ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়