ঢাকা : দেশে প্রথম ‘টাকা জাদুঘর’। দৃষ্টি নান্দনিক।
পুরানকে আকড়ে ধরা। ইতিহাসের অংশ। এতে শোভা পেয়েছে- প্রাচীন থেকে বর্তমানের
সুলভ, দুর্লভ, সাময়িক, মৌসুমীসহ সব ধরণের মুদ্রা।
সঙ্গে রয়েছে কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনের উপর করা বিভিন্ন স্মারক মুদ্রা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে অন্তত ১৪টিরও বেশি শক্তিশালী দেশের পুরান মুদ্রা রয়েছে। এর উদ্দেশ্য আবহমান বাংলা এবং উপমহাদেশের প্রাচীন মুদ্র্রার ক্রমবিকাশের ধারাকে লালন, সংরক্ষণ ও তার নান্দনিক উপস্থাপন।
গত ২৭ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টাকা জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এটি স্থাপিত হয়েছে রাজধানীর মিরপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমির দ্বিতীয় তলায়। সীমিত পরিসরে স্থাপিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘কানেন্সি মিউজিয়াম’ এর সম্প্রসারিত এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ রূপ হচ্ছে ‘টাকা জাদুঘর’। আর এই নান্দনিক টাকার যাদুঘর দেখতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এখানে সংরক্ষিত এবং প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুদ্র্রিত ও সংরক্ষিত বিভিন্ন ধরনের ধাতব মুদ্রা, কাগুজে নোট ও মুদ্রা সম্পর্কিত দ্রব্যসামগ্রী। টাকা জাদুঘরে সংরক্ষিত মুদ্রাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাচীনতম ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা (পাঞ্চ মার্কড), হরিকেলের মুদ্রা, ইন্দো-পার্থিয়ান মুদ্রা, কুশান মুদ্রা, কুচবিহারের মুদ্রা, বাংলার স্বাধীন সুলতানী আমলের মুদ্রা, পরাক্রমশালী মোঘল সম্রাটদের মুদ্রা। আরও রয়েছে ভারতে মোঘল শাসনের সমাপ্তির পর ১৮৩৫ সাল থেকে প্রচলিত বৃটিশ-ভারতীয় মুদ্র্রা। স্মরণাতীত কাল থেকে ঊনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে খুচরা বেচাকেনায় কড়িই ছিল প্রধান বিনিময় মাধ্যম। প্রাচীন বাংলায় ব্যবহৃত এ সব কড়িও জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া টাকা জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশের মুদ্রা। জাদুঘরের বিশেষ আকর্ষণীয় প্রদর্শনী হচ্ছে এর কাগুজে নোট।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ের কাগুজে নোটসহ এ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী জাপানী ডলার, ইতালি, সাবেক বিভক্ত জার্মানি, আফগানিস্তান, চীন, ল্যাটিন আমেরিকা, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ভিয়েতনাম এবং কমিউনিস্ট আমলের পোল্যান্ডের নোট। এছাড়া প্রদর্শনীতে রয়েছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাগুজে নোট।
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ঘটনা, দিবস এবং কালজয়ী ব্যক্তিদের স্মরণে এ পর্যন্ত ১১টি স্মারক মুদ্রা এবং ৩টি স্মারক নোট মুদ্রিত হয়েছে। এগুলো টাকা জাদুঘরে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে। স্মারক মুদ্রাগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২০ বছর-১৯৯১, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস-১৯৯২, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী-১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ বছর পূর্তি-১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন-১৯৯৮ (২টি), বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১১, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী-২০১১, বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি-২০১১, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর-২০১১, সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ২৫ বছর পূর্তি-২০১৩ এবং জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি-২০১৩ উপলক্ষে মুদ্র্রিত স্মারক মুদ্রা।
স্মারক নোটগুলো হচ্ছে- সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ২৫ বছর-২০১৩, বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর-২০১১, ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি-২০১২ উপলক্ষে মুদ্রিত স্মারক নোট। নোট এবং মুদ্রার পাশাপাশি এখানে সংরক্ষিত এবং প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন মুদ্রা দ্বারা নির্মিত অলংকার, মুদ্র্রা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত, কাঠের বাক্স, কয়েন ব্যাংক এবং সেকেলে লোহার সিন্ধুক। এছাড়া শস্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত মাটির মটকাও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
জাদুঘরের প্রদর্শন গ্যালারিতে রয়েছে ডিওরমা যেখানে বাংলার প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিবর্তনের ধারা প্রস্ফুটিত হয়েছে। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে টাকা জাদুঘর স্থাপনে। এখানে রয়েছে ডিজিটাল সাইনেজ, ডিজিটাল কিয়স্ক, এলইডি টিভি, থ্রিডি টিভি, প্রজেক্টর এবং ফটো কিয়স্ক। এসব আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন টাকা জাদুঘরের আকর্ষণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ডিজিটাল সাইনেজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যকে আধুনিক প্রক্রিয়ায় প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা জাদুঘরের সৌন্দর্যকে বর্ণিল করেছে। ডিজিটাল কিয়স্ক এর মাধ্যমে শোকেসে প্রদর্শিত মুদ্রাগুলোর ভিডিও চিত্র এবং তথ্য ধারণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা আঙ্গুলের স্পর্শে মুহূর্তে পেয়ে যাবেন যে কোন নোট, মুদ্রার পরিপূর্ণ তথ্য।
এলইডি টিভিতে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভিডিও চিত্র, শোকেসে প্রদর্শিত মুদ্র্রাগুলোর ত্রিমাত্রিক রূপ অবলোকন করা যাবে থ্রি ডি স্ক্রীনে।
জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রযুক্তি হচ্ছে ফটো কিয়স্ক। ফটো কিয়স্কের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা নিজের ছবি সংবলিত স্যুভেনির নোট প্রস্তুুত করে নিতে পারবেন। টাকা জাদুঘরে রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা টাকা জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। এখানে রয়েছে একটি স্যুভেনির শপ। দর্শনার্থীরা স্যুভেনির শপ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মুদ্রিত স্মারক মুদ্রা, স্মারক নোট, বিভিন্ন ধরনের স্যুভেনির দ্রব্য এবং টাকা জাদুঘর কর্তৃক প্রকাশিত প্রকাশনাসমূহ ক্রয় করতে পারবেন।
জাদুঘরের সৌন্দর্যকে পূর্ণ মাত্রা দিতে প্রবেশপথের দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছে টাকা গাছ। এখানে প্রদর্শিত হয়েছে প্রাচীন বাংলায় প্রচলিত মুদ্রা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রচলিত মুদ্রা ও টাকার রেপ্লিকা। দেয়ালে চিত্রিত টেরাকোটার কাজ জাদুঘরের শ্রী বৃদ্ধিতে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। পোড়ামাটির তৈরি এ ম্যুরালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত লেনদেনের ধারাবাহিক চিত্র।
সঙ্গে রয়েছে কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনের উপর করা বিভিন্ন স্মারক মুদ্রা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে অন্তত ১৪টিরও বেশি শক্তিশালী দেশের পুরান মুদ্রা রয়েছে। এর উদ্দেশ্য আবহমান বাংলা এবং উপমহাদেশের প্রাচীন মুদ্র্রার ক্রমবিকাশের ধারাকে লালন, সংরক্ষণ ও তার নান্দনিক উপস্থাপন।
গত ২৭ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টাকা জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এটি স্থাপিত হয়েছে রাজধানীর মিরপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমির দ্বিতীয় তলায়। সীমিত পরিসরে স্থাপিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘কানেন্সি মিউজিয়াম’ এর সম্প্রসারিত এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ রূপ হচ্ছে ‘টাকা জাদুঘর’। আর এই নান্দনিক টাকার যাদুঘর দেখতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এখানে সংরক্ষিত এবং প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুদ্র্রিত ও সংরক্ষিত বিভিন্ন ধরনের ধাতব মুদ্রা, কাগুজে নোট ও মুদ্রা সম্পর্কিত দ্রব্যসামগ্রী। টাকা জাদুঘরে সংরক্ষিত মুদ্রাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাচীনতম ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা (পাঞ্চ মার্কড), হরিকেলের মুদ্রা, ইন্দো-পার্থিয়ান মুদ্রা, কুশান মুদ্রা, কুচবিহারের মুদ্রা, বাংলার স্বাধীন সুলতানী আমলের মুদ্রা, পরাক্রমশালী মোঘল সম্রাটদের মুদ্রা। আরও রয়েছে ভারতে মোঘল শাসনের সমাপ্তির পর ১৮৩৫ সাল থেকে প্রচলিত বৃটিশ-ভারতীয় মুদ্র্রা। স্মরণাতীত কাল থেকে ঊনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে খুচরা বেচাকেনায় কড়িই ছিল প্রধান বিনিময় মাধ্যম। প্রাচীন বাংলায় ব্যবহৃত এ সব কড়িও জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া টাকা জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে বর্তমান সময়ের যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশের মুদ্রা। জাদুঘরের বিশেষ আকর্ষণীয় প্রদর্শনী হচ্ছে এর কাগুজে নোট।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ের কাগুজে নোটসহ এ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী জাপানী ডলার, ইতালি, সাবেক বিভক্ত জার্মানি, আফগানিস্তান, চীন, ল্যাটিন আমেরিকা, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, ভিয়েতনাম এবং কমিউনিস্ট আমলের পোল্যান্ডের নোট। এছাড়া প্রদর্শনীতে রয়েছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাগুজে নোট।
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ঘটনা, দিবস এবং কালজয়ী ব্যক্তিদের স্মরণে এ পর্যন্ত ১১টি স্মারক মুদ্রা এবং ৩টি স্মারক নোট মুদ্রিত হয়েছে। এগুলো টাকা জাদুঘরে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে। স্মারক মুদ্রাগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২০ বছর-১৯৯১, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস-১৯৯২, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী-১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ বছর পূর্তি-১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন-১৯৯৮ (২টি), বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১১, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী-২০১১, বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি-২০১১, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর-২০১১, সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ২৫ বছর পূর্তি-২০১৩ এবং জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি-২০১৩ উপলক্ষে মুদ্র্রিত স্মারক মুদ্রা।
স্মারক নোটগুলো হচ্ছে- সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ২৫ বছর-২০১৩, বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর-২০১১, ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি-২০১২ উপলক্ষে মুদ্রিত স্মারক নোট। নোট এবং মুদ্রার পাশাপাশি এখানে সংরক্ষিত এবং প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন মুদ্রা দ্বারা নির্মিত অলংকার, মুদ্র্রা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত, কাঠের বাক্স, কয়েন ব্যাংক এবং সেকেলে লোহার সিন্ধুক। এছাড়া শস্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত মাটির মটকাও এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
জাদুঘরের প্রদর্শন গ্যালারিতে রয়েছে ডিওরমা যেখানে বাংলার প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিবর্তনের ধারা প্রস্ফুটিত হয়েছে। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে টাকা জাদুঘর স্থাপনে। এখানে রয়েছে ডিজিটাল সাইনেজ, ডিজিটাল কিয়স্ক, এলইডি টিভি, থ্রিডি টিভি, প্রজেক্টর এবং ফটো কিয়স্ক। এসব আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন টাকা জাদুঘরের আকর্ষণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ডিজিটাল সাইনেজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যকে আধুনিক প্রক্রিয়ায় প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা জাদুঘরের সৌন্দর্যকে বর্ণিল করেছে। ডিজিটাল কিয়স্ক এর মাধ্যমে শোকেসে প্রদর্শিত মুদ্রাগুলোর ভিডিও চিত্র এবং তথ্য ধারণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা আঙ্গুলের স্পর্শে মুহূর্তে পেয়ে যাবেন যে কোন নোট, মুদ্রার পরিপূর্ণ তথ্য।
এলইডি টিভিতে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভিডিও চিত্র, শোকেসে প্রদর্শিত মুদ্র্রাগুলোর ত্রিমাত্রিক রূপ অবলোকন করা যাবে থ্রি ডি স্ক্রীনে।
জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রযুক্তি হচ্ছে ফটো কিয়স্ক। ফটো কিয়স্কের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা নিজের ছবি সংবলিত স্যুভেনির নোট প্রস্তুুত করে নিতে পারবেন। টাকা জাদুঘরে রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা টাকা জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। এখানে রয়েছে একটি স্যুভেনির শপ। দর্শনার্থীরা স্যুভেনির শপ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মুদ্রিত স্মারক মুদ্রা, স্মারক নোট, বিভিন্ন ধরনের স্যুভেনির দ্রব্য এবং টাকা জাদুঘর কর্তৃক প্রকাশিত প্রকাশনাসমূহ ক্রয় করতে পারবেন।
জাদুঘরের সৌন্দর্যকে পূর্ণ মাত্রা দিতে প্রবেশপথের দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছে টাকা গাছ। এখানে প্রদর্শিত হয়েছে প্রাচীন বাংলায় প্রচলিত মুদ্রা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রচলিত মুদ্রা ও টাকার রেপ্লিকা। দেয়ালে চিত্রিত টেরাকোটার কাজ জাদুঘরের শ্রী বৃদ্ধিতে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। পোড়ামাটির তৈরি এ ম্যুরালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত লেনদেনের ধারাবাহিক চিত্র।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
একদিন বেড়াতে যাব
ReplyDelete