ঠাকুরগাঁও: মিজান, রিজভী, রাকিব, হানিফ, মোমিনুল ও
রিজভী-২। ওরা খুব ভালো বন্ধু। একে অপরের বিপদে আপদে ছুটে আসে সবাই। চমৎকার
বন্ধুত্ব। তাদের ছয় বন্ধুর মধ্যে মোমিনুল অনেকটা স্বচ্ছল পরিবারের। তার ছিল
একটি মোটরসাইকেল। সেটি নিয়েই আসতো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। মাঝে মধ্যে
সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতেও যেতো ওর মোটরসাইকেলে চড়ে। এক পর্যায়ে
মোমিনুলের মোটরসাইকেলের ওপর তাদের খুব লোভ হয়। কীভাবে মোটরসাইকেলটি নেয়া
যায় তা নিয়ে কয়েক বন্ধু মিলে গোপন পরিকল্পনা করে।
কয়েকদিন ধরে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে শুরু করে। মিজান, রিজভী, রাকিব, হানিফ ও রিজভী-২ বুদ্ধি দিল, একদিন রাতে মোমিনুলকে দাওয়াত হবে কোনো বন্ধুর বাসায়। এরপর গভীর রাতে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয়া হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল রিজভীর বাড়িতে তারা সারারাত আড্ডা দিবে। দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলল। গত ৭ মার্চ রাতে রিজভীর বাড়িতে গেল মিজান, রিজভী-২, হানিফ ও রাকিব। ঘণ্টা খানেক পরে মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে হাজির মোমিনুল। শুরু হলো তুমুল আড্ডাবাজি। রাত যত গভীর হতে লাগল আড্ডার মাত্রা ততোই বাড়তে থাকল। এক ফাঁকে রিজভী-২ মোমিনুলের মোটরসাইকেল নিয়ে গেল বাইরে। কিনে আনল পেট্রোল।
রাত একটার দিকে এক তরুণীর প্রলভোন দেখিয়ে মোটরসাইকেলসহ মোমিনুলকে নিয়ে রিজভী, মিজান, রাকিব ও রিজভী-২ চলে আসে শহরের বিএসডিসি ফার্ম এলাকায়। মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নদীর পাশে। এসময় মোমিনুল জানতে সেই মেয়েটার কথা। তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তারা গল্প করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী রিভজী প্রথমে পেছন থেকে মোমিনুলে গলায় রশি দিয়ে প্যাঁচ দেয়। পরে রাকিব, মিজান, হানিফ ও বিজভী-২ রশি ধরে টান দিতে থাকে। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোমিনুল।
এরপর রাকিব, মিজান, হানিফ মিলে মোমিনুলকে চেপে ধরে থাকে। রিজভী তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পেট্রোল দিয়ে মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় রিজভী। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে মোটরসাইকেল বিক্রির। সেই টাকা ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা করে তারা।
তবে টাকা ভাগাভাগি হওয়ার আগেই পুলিশের হাতে আটক হয় মিজান, রাকিব ও হানিফ।
বৃহস্পতিবার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুলফিকার আলী খানের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নিহত মোমিনুলের ওই তিনবন্ধু। তারা স্বীকার করেছে, মোটরসাইকেলের লোভেই গলাকেটে হত্যা করে মোমিনুলের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলে তারা।
গত ৮ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের বিএসডিসি ফার্ম এলাকায় টাঙ্গন নদীর পাশ থেকে পুলিশ মোমিনুলের লাশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, মোমিনুলের মোবাইল ফোন দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনজনকে আটক করা হয়। প্রথমে ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠ থেকে হানিফ আটক হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরে নীলফামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাকিবকে ও জগন্নাথপুর থেকে মিজান আটক হয়। বাকি আসামিদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
কয়েকদিন ধরে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে শুরু করে। মিজান, রিজভী, রাকিব, হানিফ ও রিজভী-২ বুদ্ধি দিল, একদিন রাতে মোমিনুলকে দাওয়াত হবে কোনো বন্ধুর বাসায়। এরপর গভীর রাতে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয়া হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল রিজভীর বাড়িতে তারা সারারাত আড্ডা দিবে। দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলল। গত ৭ মার্চ রাতে রিজভীর বাড়িতে গেল মিজান, রিজভী-২, হানিফ ও রাকিব। ঘণ্টা খানেক পরে মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে হাজির মোমিনুল। শুরু হলো তুমুল আড্ডাবাজি। রাত যত গভীর হতে লাগল আড্ডার মাত্রা ততোই বাড়তে থাকল। এক ফাঁকে রিজভী-২ মোমিনুলের মোটরসাইকেল নিয়ে গেল বাইরে। কিনে আনল পেট্রোল।
রাত একটার দিকে এক তরুণীর প্রলভোন দেখিয়ে মোটরসাইকেলসহ মোমিনুলকে নিয়ে রিজভী, মিজান, রাকিব ও রিজভী-২ চলে আসে শহরের বিএসডিসি ফার্ম এলাকায়। মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নদীর পাশে। এসময় মোমিনুল জানতে সেই মেয়েটার কথা। তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তারা গল্প করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী রিভজী প্রথমে পেছন থেকে মোমিনুলে গলায় রশি দিয়ে প্যাঁচ দেয়। পরে রাকিব, মিজান, হানিফ ও বিজভী-২ রশি ধরে টান দিতে থাকে। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোমিনুল।
এরপর রাকিব, মিজান, হানিফ মিলে মোমিনুলকে চেপে ধরে থাকে। রিজভী তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পেট্রোল দিয়ে মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় রিজভী। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে মোটরসাইকেল বিক্রির। সেই টাকা ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা করে তারা।
তবে টাকা ভাগাভাগি হওয়ার আগেই পুলিশের হাতে আটক হয় মিজান, রাকিব ও হানিফ।
বৃহস্পতিবার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুলফিকার আলী খানের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নিহত মোমিনুলের ওই তিনবন্ধু। তারা স্বীকার করেছে, মোটরসাইকেলের লোভেই গলাকেটে হত্যা করে মোমিনুলের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলে তারা।
গত ৮ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের বিএসডিসি ফার্ম এলাকায় টাঙ্গন নদীর পাশ থেকে পুলিশ মোমিনুলের লাশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, মোমিনুলের মোবাইল ফোন দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনজনকে আটক করা হয়। প্রথমে ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠ থেকে হানিফ আটক হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরে নীলফামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাকিবকে ও জগন্নাথপুর থেকে মিজান আটক হয়। বাকি আসামিদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলামেইল২৪ডটকম/
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়